আন্তর্জাতিক

প্রকাশ্যে আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে চীন

চীন সফলতার সঙ্গে প্রশান্ত মহাসাগরে একটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। 

বিশ্লেষকরা বলছেন, এ ঘটনা চীনের পারমাণবিক অস্ত্র সম্পর্কে আন্তর্জাতিক উদ্বেগ বাড়াতে পারে। 

চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলেছে, বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) পিপলস লিবারেশন আর্মি রকেট ফোর্স বেইজিংয়ের স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৪৪ মিনিটে একটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছিল এবং সেটি প্রত্যাশিত সমুদ্র অঞ্চলে পড়েছে। পরীক্ষায় ডামি ওয়ারহেড ব্যবহার করা হয়েছিল।  

বিবৃতিতে চীন আরও জানায়, পরীক্ষাটি ছিল তাদের বার্ষিক প্রশিক্ষণ পরিকল্পনা রুটিনের অংশ। এটি কোনো দেশ বা লক্ষ্যে নির্দেশিত নয়।

চীনের বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, এ পরীক্ষা বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে আগেই অবহিত করেছিল চীন। ক্ষেপণাস্ত্রের পথ বা প্রশান্ত মহাসাগরের কোনো অঞ্চলে এটি পড়েছে সে সম্পর্কে প্রতিবেদনে কিছু বলা হয়নি।

সামরিক বাহিনীর বরাত দিয়ে সিনহুয়া জানায়, উৎক্ষেপণটি ‘কার্যকরভাবে অস্ত্র ও সরঞ্জামের পারফরম্যান্স ও সৈন্যদের প্রশিক্ষণের স্তর পরীক্ষা করেছে এবং প্রত্যাশিত লক্ষ্য অর্জন করেছে’।

জাপান কোস্ট গার্ডের একজন কর্মকর্তা ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, তারা দক্ষিণ চীন সাগর এবং ফিলিপাইনের লুজন দ্বীপের উত্তরে প্রশান্ত মহাসাগরের তিনটি অঞ্চলে এবং দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে ‘মহাকাশ ধ্বংসাবশেষ’ এর জন্য সোমবার চীন থেকে একটি নেভিগেশন সতর্কতা পেয়েছেন।

সতর্কতাটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল না, তা নিশ্চিত করতে ওই কর্মকর্তা রাজি হননি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, চীনের জন্য ঘোষণা দিয়ে সমুদ্রে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার বিরল ঘটনা। কারণ চীন ইনার মঙ্গোলিয়ার মতো বিচ্ছিন্ন প্রদেশে অঘোষিতভাবে তাদের পরীক্ষা চালাতে পছন্দ করে।

চীনের পরমাণু কর্মসূচির অস্বচ্ছতার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন থেকে সমালোচনা করে আসছে। তাইওয়ানের কাছে মার্কিন অস্ত্র বিক্রির প্রতিবাদে চলতি মাসের জুলাই মাসে ওয়াশিংটনের সাথে পারমাণবিক আলোচনা বাতিল করে বেইজিং।