আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশের সংস্কার ও নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ চান জয়

বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, সেনাপ্রধান ১৮ মাসের মধ্যে নির্বাচন হওয়া উচিত বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে তিনি সন্তুষ্ট, যদিও এটি প্রত্যাশার চেয়ে দেরিতে এসেছে। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, আওয়ামী লীগ ছাড়া প্রকৃত সংস্কার ও নির্বাচন অসম্ভব।

মঙ্গলবার রাতে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেন সজীব ওয়াজেদ জয়। 

সোমবার রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছিলেন, ‘গণতন্ত্রে একটি উত্তরণ এক বছর থেকে দেড় বছরের মধ্যে করা উচিত বলে তিনি মনে করেন।’ এর প্রতিক্রিয়ায় মঙ্গলবার রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘শেষপর্যন্ত আমরা একটা সময়সীমা পেয়েছি, এতে আমি খুশী।’

তিনি আরো বলেন, ‘তবে আমরা এই নাটকটি আগেও দেখেছি যেখানে একটি অসাংবিধানিক, অনির্বাচিত সরকার সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দেয় কিন্তু তারপর পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়।’

নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্বাচনের আগে বিচার বিভাগ, পুলিশ এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে এই সংস্কার কাজ শেষ করতে কতদিন লাগতে পারে, সেই বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো তারিখ ঘোষণা করা হয়নি।

বুধবার প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘গঠিত ছয়টি সংস্কার প্যানেলের সুপারিশ পাওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে অন্তর্বর্তী সরকার।’

বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ‘সংস্কারের বিষয়ে ঐক্যমত পোষণ করা হলে এবং ভোটার তালিকা প্রস্তুত হলে ভোটের তারিখ ঘোষণা করা হবে।’

বিএনপি বলেছে, তারা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন করতে চায়।

ওয়াশিংটনে বসবাসকারী জয় বলেছেন, ‘ড. ইউনূস বা তার সরকারের কেউই নির্বাচন নিয়ে আলোচনার জন্য আওয়ামী লীগের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।’ 

তিনি আরো বলেন, ‘সবচেয়ে পুরোনো ও বৃহত্তম রাজনৈতিক দলকে বাদ দিয়ে বৈধ সংস্কার ও নির্বাচন করা অসম্ভব।’

গত মাসে রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জয় বলেছিলেন, ‘শেখ হাসিনা দেশে ফিরে বিচারের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত এবং পরবর্তী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিতে চায়।’

শেখ হাসিনা দেশে ফিরবেন কী-না, মঙ্গলবার জানতে চাওয়া হলে সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘এটা তার (শেখ হাসিনা) সিদ্ধান্ত। এই মুহূর্তে আমি আমার দলের লোকজনকে নিরাপদে রাখতে চাই। ইউনূস সরকার তাদের ওপর যে নিষ্ঠুরতা চালাচ্ছে, সেটাকে আমি বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে চাই।’