আন্তর্জাতিক

লেবানন থেকে পালাচ্ছে মানুষ

সোমবার সকালে ১২ বছর বয়সী জাহরা ভয় পেয়ে ঘুম থেকে জেগে উঠেছিল।

লেবাননের বোর্জ কালাউইয়ের ছোট্ট মেয়েটি আল জাজিরাকে বলেছিল, ‘বোমার কারণে আমি খুব ভয়ে ছিলাম।’

জাহরার গ্রামটি দক্ষিণ লেবাননের নাবাতিহ এবং বিনতে জেবিলের মধ্যে অবস্থিত। গত বছরের অক্টোবরে হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েল আন্তঃসীমান্ত হামলা শুরুর কিছুক্ষণ পরেই জাহরা এবং তার পরিবার বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলির লায়লাকিতে পালিয়ে যায়। একই দিনে, জাহরা আরো একবার ভয় পেয়েছিল।

বৈরুতে পরিবারের আশ্রয় সম্পর্কে সে বলেছে, ‘আমি খুব ভয় পেয়েছিলাম এবং তারপরে আমি খবর পেয়েছিলাম যে তারা আমাদের ভবনে বোমা ফেলতে যাচ্ছে।’

সোমবার সকালে লেবাননের আশেপাশের লোকেরা - বিশেষ করে দক্ষিণ শহরতলির ও বেকা উপত্যকায় - অজানা নম্বর থেকে বার্তাগুলো পেয়েছিল যাতে তারা দ্রুত তাদের বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। এ ধরনের প্রায় ৮০ হাজার বার্তা পাঠানো হয়েছিল।

জাহরা বলেছে, ‘আমি কান্না শুরু করেছিলা। আমি আমার মাকে চিৎকার করে বলেছিলাম যে তার ফোনটি রেখে দিতে এবং পোশাক পরতে।

লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় জাহারকমপক্ষে ৫৮৫ জন নিহত এবং এক হাজার ৬৪৫ জন আহত হয়। এদের মধ্যে অনেকেই বেসামরিক বলে জানা গেছে।

ইসরায়েলে হামাসের ওপর হামলার প্রতিশোধ নিতে লেবাননের হিজবুল্লাহ ৮ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা শুরু করে। এর প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলও হামলা চালায়। ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে এ পর্যন্ত এক হাজার ১৩৯ জন নিহত হয় এবং আরো ২৪০ জনকে বন্দি করা হয়।

আল-জাজিরা জানিয়েছে, লেবাননের সীমান্ত এলাকা থেকে এক লাখ দুই হাজারেরও বেশি মানুষ পালিয়ে গেছে। গত সপ্তাহে হিজবুল্লাহর ব্যবহৃত পেজার ও ওয়াকিটকিতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৩৭ জন নিহত ও তিন হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়। এ ঘটনার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করা হচ্ছে। এর প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলের ওপর রকেট হামলা চালাচ্ছে। জবাবে ইসরায়েলও হামলা চালাচ্ছে।