আন্তর্জাতিক

কী ঘটেছে হিজবুল্লাহ নেতা নাসরাল্লাহর ভাগ্যে?

লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর নেতা হাসান নাসরাল্লাহ নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী।

শনিবার এক্স - এ এক পোস্টে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে এ দাবি করা হয়। এতে বলা হয়, ‘ইসরায়েলের সেনাবাহিনী হিজবুল্লাহ সন্ত্রাসী সংগঠনের নেতাকে নির্মূল করেছে। হাসান নাসরাল্লাহ আর বিশ্বে ত্রাস সৃষ্টি করতে পারবেন না।’

তবে হাসান নাসরাল্লাহর ভাগ্যে কী ঘটেছে, সে বিষয়ে হিজবুল্লাহ আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি, কোনো বিবৃতিও দেয়নি। রয়টার্সের পক্ষে এ ব্যাপারে হিজবুল্লাহর কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের নাগাল পাওয়া যায়নি।

যদি হিজবুল্লাহর নেতার নিহতের তথ্য নিশ্চিত হওয়া যায়, তাহলে এটি শুধুমাত্র হিজবুল্লাহ নয়, ইরানে নাসরাল্লাহর সমর্থকদের জন্যও একটি বড় ধাক্কা হবে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে তেহরান-সমর্থিত ‘প্রতিরোধের অক্ষ’-এর একজন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্ব, যা মধ্যপ্রাচ্যে ইরানি প্রভাবকে তুলে ধরতে সাহায্য করেছে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বৈরুতের হিজবুল্লাহ-নিয়ন্ত্রিত দক্ষিণ শহরতলির দাহিয়েহ-তে একটি আবাসিক ভবনের নীচে গোষ্ঠীর ভূগর্ভস্থ সদর দফতরে একটি ‘লক্ষ্যনির্ভর হামলায়’ নাসরাল্লাহকে নির্মূল করা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, হিজবুল্লাহর আরেক শীর্ষ নেতা - আলী কারাকি এবং অন্যান্য কমান্ডারদের সাথে নিহত হয়েছেন নাসরাল্লাহ।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘হিজবুল্লাহর ঊর্ধ্বতন চেইন অব কমান্ড যখন সদর দপ্তর থেকে কাজ করছিল এবং ইসরায়েল রাষ্ট্রের নাগরিকদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অগ্রসর হচ্ছিল তখন এই হামলা চালানো হয়েছিল।’

হিজবুল্লাহর প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম হচ্ছেন নাসরাল্লাহ। প্রায় ৩২ বছর ধরে তিনি এই গোষ্ঠীর হাল ধরেছিলেন। তার নিহতের খবর যদি সত্যি হয়, তাহলে এটি লেবাননের রাজনীতিতে ভূমিকম্পের সৃষ্টি করবে।

ইসরায়েল এর আগে ইরানের রাজধানী তেহরানে অভিযান চালিয়ে হত্যা করেছিল হামাসের শীর্ষনেতা ইসমাইল হানিয়াহকে। এ ঘটনায় ইরান প্রথমে নিশ্চুপ থাকলেও পরে তারা বিষয়টি স্বীকার করে। সেই হিসাবে নাসরাল্লাহকে হত্যার ব্যাপারে ইসরায়েল যে দাবি করছে, তাকে বহুলাংশে সত্য বলেই ধরে নেওয়া যায়। বাকী রইলো হিজবুল্লাহর স্বীকারোক্তি বা প্রতিবাদের বিষয়টি। হয়তো আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বিষয়টি নিশ্চিত করবে হিজবুল্লাহ।