আন্তর্জাতিক

লেবানন থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে চীনা নাগরিকদের

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ লেবানন থেকে চীন তার নাগরিকদের দ্রুত সরিয়ে নিয়েছে। মঙ্গলবার লেবাননে একজন চীনা ব্যবসায়ী এমনটা জানিয়েছেন।

দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে লড়াই তীব্র হওয়ায় পর ৬৯ জন চীনা নাগরিকের প্রথম ব্যাচটির সঙ্গে তাদের ১১ জন বিদেশি পারিবারিক সদস্যকেও লেবানন থেকে সরিয়ে নিরাপদে সাইপ্রাসে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

চীন আরব অ্যাসোসিয়েশন ফর প্রমোটিং কালচারাল অ্যান্ড কমার্শিয়াল এক্সচেঞ্জের সভাপতি এলিয়ানা ইব্রাহিম দুই দশকেরও বেশি সময় লেবাননে বসবাস করছেন। চায়না গ্লোবাল টেলিভিশন নেটওয়ার্ককে (সিজিটিএন) লেবাননের সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে কথা বলেছেন তিনি।

তিনি বলেন, লেবাননের দক্ষিণের মানুষদের বাড়ি ছেড়ে যেতে হবে। তাদের অনেকের এখন রাস্তায় ঘুমাচ্ছে। কেউ কেউ ঘুমাচ্ছে সরকারি স্কুলগুলোয়। কেউ আবার লেবাননের উত্তরে বাড়ি ভাড়া করে বা আত্মীয়দের বাড়িতে থাকছেন।

শুক্রবার লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরাল্লাহর হত্যার ফলে দীর্ঘস্থায়ী সংঘাত আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে এবং একটি বৃহত্তর আঞ্চলিক যুদ্ধের আশঙ্কাও বাড়িয়েছে।

এলিয়ানা ইব্রাহিম জানান, তিনি শুক্রবার বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন, যেটি ছিল মূলত হিজবুল্লাহর নেতাদের লক্ষ্য করে।

তিনি আরও জানান, লেবানন থেকে চীনাদের নিরাপদে সরাতে তিনি চীনা দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, চীনা কর্তৃপক্ষ মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতিতে দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে।

এর আগে ২০০৬ সালেও লেবানন থেকে চীনা জনগণকে সরিয়ে নেওয়ার সাক্ষী ছিলেন এলিয়ানা। তাই তিনি চীনা দূতাবাসের সঙ্গে তার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন এবং তার ট্রাভেল এজেন্সির তরফ থেকেও দরকারি সহায়তা দিয়েছেন।

মধ্যপ্রাচ্যের নিকটতম ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্র সাইপ্রাস। উদ্বাস্তুদের জন্য এটি একটি কেন্দ্রস্থল। ২০০৬ সালে হিজবুল্লাহ-ইসরায়েল যুদ্ধ থেকে পালিয়ে আসা প্রায় ৬০ হাজার লোকের আশ্রয় দিয়েছিল দেশটি।