দক্ষিণ ভারতের ছোট একটি গ্রাম থুলাসেন্দ্রাপুরমে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্টের নানা এক সময় বাস করতেন। এই গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা ও পুরোহিতরা হিন্দু মন্দিরে হ্যারিসের বিজয়ের জন্য পূজা দিয়েছেন এবং প্রার্থনা করেছেন। কেননা তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদের জন্য নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে অনেকে গর্ব প্রকাশ করেছেন যে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীর ভারতীয় শিকড় রয়েছে। হ্যারিসের মা ভারতীয় ও বাবা জামাইকান।
তবে অনেকের এই বিষয় নিয়ে উৎসাহ নেই। কারণ তারা মনে করেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন হ্যারিস কখনো তার ভারতীয় সংযোগ বা শিকড় নিয়ে মনোযোগ দেখাননি বা সেতুবন্ধন করতে তৎপর হননি।
নয়াদিল্লির বাসিন্দা সিমরান সিং বলেন, ‘এই শহরে আমার মতো সাধারণ একজন মেয়ের কাছে বিষয়টি বেশ উত্তেজনাপূর্ণ।’
এই শহরের আরেক বাসিন্দা নন্দিতা সোনি ও তার স্বামী গত মাসে হ্যারিসকে তার বিরোধী প্রার্থী যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সাথে বিতর্ক করতে দেখেছেন।
সোনি বলেন, ‘আমি মনে করি, তিনি জিতেছেন। আমাদের অবশ্যই গর্বের একটা অনুভূতি রয়েছে। প্রথমত, তিনি একজন নারী এবং তারপর তার ভারতীয় ঐতিহ্য। ভাবতে সত্যিই ভালো লাগছে।’
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কেবলমাত্র হ্যারিসেরই ভারতীয় যোগসূত্র রয়েছে, তেমনটা নয়। রিপাবলিকান ভাইস প্রেসিডেন্সিয়াল প্রার্থী জে ডি ভ্যান্সের স্ত্রী ঊষা ভ্যান্সও ভারতীয় অভিবাসীর কন্যা।
ঊষা ভ্যান্সের কথা অনেক ভারতীয়ই শোনেননি। তবে চার বছর আগে হ্যারিস যখন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন, তখন ভারতে যে উন্মাদনা তৈরি হয়েছিল তা ফিকে হয়ে গেছে। একাধিক সাক্ষাৎকারে হ্যারিস বলেছেন, তিনি যখন ছোট ছিলেন এবং চেন্নাইয়ে মামার বাড়িতে যেতেন তখন তার ভারতীয় নানার কাছ থেকে সাম্য, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের মতো ধারণাগুলির সাথে পরিচয় হয়েছিল।
তবে অনেকে উল্লেখ করেছেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বে থাকাকালীন তিনি একবারো ভারতে আসেননি বা নিজের ভারতীয় আত্মপরিচয়ের ওপর বেশি জোর দেননি।
নয়াদিল্লির বাসিন্দা প্রদীপ ভার্গব বলেছেন, ‘সত্যি বলতে, ভারতে আমরা তার সম্পর্কে বেশি কিছু শুনিনি। কারণ ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার সাথে ভারতের যোগাযোগ ততটা ভালো নয়।’
সূত্র: ভয়েস অফ আমেরিকা