ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি বিরল জুমার খুতবা দিয়েছেন। খুতবায় তিনি জানিয়েছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে আঞ্চলিক সংঘাতের বাস্তব সম্ভাবনা রয়েছে। ইসরায়েলকে মোকাবিলায় তিনি মুসলিম উম্মাহর প্রতি ঐক্যের ডাক দিয়েছেন।
গত কয়েক দশকে ইরানের আঞ্চলিক নীতি নিয়ে বেশ সমালোচনা ছিল। তাই ইরানকে একরকম একঘরে করে রাখা হতো মধ্যপ্রাচ্যে। সম্প্রতি ফিলিস্তিনি, লেবাননসহ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে ইসরায়েলের আগ্রাসনের কারণে ইরানের নীতি পরিবর্তন এবং বিচ্ছিন্নতা অবসানের উদ্যোগ নিয়েছেন খামেনি। প্রকাশ্যে জুমার খুতবা দেওয়া খামেনির জন্য বিরল ঘটনা। তবে শুক্রবার তিনি সেই কাজটিই করেছেন। লেবাননের হিজবুল্লাহর মহাসচিব হাসান নাসরাল্লাহ ইসরায়েলি হামলায় নিহতের পর খবর বের হয়, খামেনি গোপন স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন। শুক্রবার খামেনি খুতবা দিয়ে বার্তা দিতে চেয়েছেন যে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা গোপন স্থানে আশ্রয় নেননি।
পাঁচ বছর পর দেওয়া খুতবায় খামেনি বলেছেন, ‘আমাদের শত্রুদের নীতি হচ্ছে বিভাজন এবং রাষ্ট্রদ্রোহের বীজ বপন করা, মুসলমানদের মধ্যে ফাটল সৃষ্টি করা। তারা ফিলিস্তিনি, লেবানিজ, মিশরীয় এবং ইরাকিদের একই শত্রু। তারা ইয়েমেনি এবং সিরিয়ার জনগণের শত্রু। আমাদের শত্রু এক।’
মঙ্গলবার ইসরায়েলে ইরানের হামলার প্রশংসা করে খামেনি একে সম্পূর্ণ ‘বৈধ’ বলে অভিহিত করেছেন।
তিনি বলেছেন, ইসরায়েলের ওপর এই হামলা ছিল তাদের অপরাধের জন্য ‘ন্যূনতম শাস্তি।’