যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের পশ্চিম উপকূলে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় মিল্টন। স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এই ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে। এ সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৯৫ কিলোমিটার।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার (এনএইচসি) জানিয়েছে, হারিকেন মিল্টন ফ্লোরিডার পশ্চিম উপকূলে সারাসোটা কাউন্টির সিয়েস্তা কী এলাকার কাছাকাছি আছড়ে পড়েছে। ‘বিপর্যয়কর’ ক্যাটাগরিতে তিন নম্বর রূপ নিয়েছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়টি।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, এই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ফ্লোরিডার অন্তত ২০ লাখ পরিবার ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। ফ্লোরিডার ৫১টি শহরে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়স্থলে চলে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
হারিকেন মিল্টনের আঘাতে ফ্লোরিডায় বড় রকমের হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে মিল্টনের প্রভাবে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
মার্কিন আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, মিল্টন প্রায় এক শতাব্দীর মধ্যে এই অঞ্চলে আঘাত হানার সবচেয়ে খারাপ ঝড় হতে পারে। এর প্রভাবে ১০ থেকে ১৫ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। এছাড়া স্থানীয়ভাবে দেড় ফুট পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হতে পারে।
ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিস্যানটিস বলেছেন, দানবীয় এই হারিকেনের কবল থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের বাঁচাতে নিরাপদ এলাকায় কয়েক ডজন আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে।
আবহাওয়া বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যে এটি বিধ্বংসী ক্ষমতার দিক দিয়ে ১৪তম এবং প্রশস্ততার দিক দিয়ে তৃতীয়। ফ্লোরিডায় আঘাত হানার সময় এর পরিধি ছিল ৬৭৫ কিলোমিটার।
হারিকেন হেলেনের বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠার মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যেই অঙ্গরাজ্যটি আবারও বড় ধরনের দুর্যোগের মুখে পড়ল। হেলেনের আঘাতে ফ্লোরিডা, জর্জিয়া, দক্ষিণ ক্যারোলাইনা, টেনেসি, ভার্জিনিয়া এবং উত্তর ক্যারোলাইনা অঙ্গরাজ্যে অন্তত ২২৫ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন।