চলতি সপ্তাহে রসায়ন ও পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কার সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্ট গুগুলের সাথে যুক্ত অল্প সংখ্যক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) উদ্ভাবনে অগ্রগামীদের দেওয়া হয়েছে। তবে এই পুরস্কার গুগলের গবেষণার আধিপত্য এবং কম্পিউটার বিজ্ঞানের অগ্রগতিগুলোকে কীভাবে স্বীকৃতি দেওয়া উচিত তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি করেছে।
গুগল এআই গবেষণার সম্মুখ সারিতে রয়েছে। কিন্তু মাইক্রোসফট সমর্থিত ওপেনএআই থেকে প্রতিযোগিতামূলক চাপ এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ থেকে নিয়ন্ত্রণের কারণে তারা এখন রক্ষণাত্মক ভূমিকায় রয়েছে।
বুধবার গুগলের এআই ইউনিট ডিপমাইন্ডের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ডেমিস হাসাবিস, তার সহকর্মী জন জাম্পার এবং মার্কিন বায়োকেমিস্ট ডেভিড বেকারকে মাইক্রোস্কোপিক প্রোটিনের কাঠামোর পাঠোদ্ধারে তাদের কাজের জন্য রসায়নে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
এর আগের দিন গুগলের সাবেক গবেষক জিওফ্রে হিন্টন মার্কিন বিজ্ঞানী জন হপফিল্ডের সাথে যৌথভাবে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার জিতেছেন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিস্তারের পথ তৈরির করার আগের পর্যায়ে যান্ত্রিক শিক্ষা আবিষ্কারের জন্য তাদের এই সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।
কম্পিউটার বিজ্ঞানী এবং জাতিসংঘের এআই-এর উপদেষ্টা অধ্যাপক ডেম ওয়েন্ডি হল রয়টার্সকে বলেছেন, প্রাপকরা কাজের স্বীকৃতির দাবিদার হলেও, গণিত বা কম্পিউটার বিজ্ঞানের জন্য নোবেল পুরস্কারের অভাবের বিষয়টি এ ক্ষেত্রে দৃশ্যমান হয়েছে।
তিনি বলেন ‘নোবেল পুরষ্কার কমিটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিষয়টি হাতছাড়া করতে চায়নি, তাই জিওফ্রেকে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে ঠেলে দেওয়া তাদের পক্ষে খুবই সৃজনশীল। আমি যুক্তি হচ্ছে, উভয়ই বিষয়টিই সন্দেহজনক, তবুও তাদের বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের পরিপ্রেক্ষিতে তারা নোবেল পুরস্কারের যোগ্য। তাহলে আপনি কীভাবে তাদের পুরস্কৃত করবেন?’
বেন্টলি ইউনিভার্সিটির গণিতের সহযোগী অধ্যাপক এবং ‘হাউ অ্যালগরিদমস ক্রিয়েট অ্যান্ড প্রিভেনট ফেক নিউজ’ এর লেখক নোয়া গিয়ানসিরাকুসার মতে, হিন্টনকে নোবেল দেওয়াটা প্রশ্নবিদ্ধ।
নোয়া বলেন, ‘তিনি যা করেছেন তা অসাধারণ, কিন্তু এটি কি পদার্থবিদ্যা ছিল? আমি তা মনে করি না। এমনকি পদার্থবিজ্ঞান থেকে তাদের অনুপ্রেরণা থাকলেও, তারা পদার্থবিজ্ঞানে একটি নতুন তত্ত্ব তৈরি করছেন না বা পদার্থবিজ্ঞানের দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা সমাধান করছেন না।’