আন্তর্জাতিক

মাদ্রাসা শিক্ষকদের বেতন ৩ গুণ বাড়াল মহারাষ্ট্র সরকার

ভোটের আগে সংখ্যালঘুদের কাছে টানতে এবার মাদ্রাসা শিক্ষকদের বেতন তিনগুণ বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে ভারতের মহারাষ্ট্র সরকার। একই সঙ্গে বাড়ানো হয়েছে সংখ্যালঘু তহবিলে অর্থের পরিমাণও।

শুক্রবার (১১ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে।

চলতি বছরেই মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। তবে এখনো সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ ঘোষণা করেনি ভারতের নির্বাচন কমিশন। এরই মধ্যে একের পর এক সামাজিক প্রকল্পে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষকে খুশি করতে উঠে পড়ে লেগেছে মহারাষ্ট্রের একনাথ শিন্ডের সরকার।

সম্প্রতি ধাঙড় গোষ্ঠীর ভোটকে গুরুত্ব দিয়ে তাদের তপসিলি জনজাতি (এসটি) সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যা নিয়ে বিক্ষোভের ঘটনাও ঘটেছে। এর মধ্যেই ওবিসি, আদিবাসী ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য একাধিক প্রস্তাবে অনুমোদন দিল মহারাষ্ট্র সরকার।

গত বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে জনকল্যাণমূলক ৮০টি প্রস্তাব উত্থাপিত হয়, যার মধ্যে ৩৮টি প্রস্তাবে অনুমোদন দেয় একনাথ শিন্ডের সরকার।

উল্লেখযোগ্য প্রস্তাবগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মাদ্রাসা শিক্ষকদের বেতন বাড়ানো। মহারাষ্ট্রে ডিএড প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত শিক্ষকদের মাসিক বেতন ছিল ৬ হাজার রুপি। সেটি বাড়িয়ে ১৬ হাজার রুপি করা হয়েছে। এ ছাড়া বিএড ও বিএসসি বিএড প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত শিক্ষকদের বেতন ৮ হাজার থেকে বাড়িয়ে ১৮ হাজার রুপি করা হয়েছে। পাশাপাশি নন ক্রিমি লেয়ার আয়ের সীমা ৮ লাখ থেকে বাড়িয়ে ১৫ লাখ রুপি করা হয়েছে।

এদিকে আদিবাসী উন্নয়নের লক্ষ্যে শবরী ট্রাইবাল ফাইন্যান্সের আর্থিক অনুদানের পরিমাণ ৫০ কোটি থেকে বাড়িয়ে ১০০ কোটি করা হয়েছে। পাশাপাশি সংখ্যালঘু উন্নয়নে আর্থিক বরাদ্দের পরিমাণ ৭০০ কোটি থেকে বাড়িয়ে ১০০০ কোটি করা হয়েছে।

চলতি বছরের ২৬ নভেম্বর শেষ হচ্ছে মহারাষ্ট্রের বর্তমান সরকারের মেয়াদ। তার আগেই হবে বিধানসভা নির্বাচন। সদ্য শেষ হওয়া লোকসভা নির্বাচনে বর্তমান এনডিএ সরকার ভালো ফল করতে পারেনি। এমন পরিস্থিতিতে হিন্দু ভোটারদের কাছে টানতে দেশি গরুকে ‘রাজ্য মাতা’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এরপর ধাঙড় সম্প্রদায়কে গুরুত্ব দিয়ে তপসিলি জনজাতি (এসটি) সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে। এবার মুসলিম ভোটারদের মন পেতে মাদ্রাসা শিক্ষকদের বেতন বাড়ানোর ঘোষণা দিল একনাথ শিন্ডের সরকার।