আন্তর্জাতিক

ভারত-কানাডা সম্পর্কে উত্তেজনা, পাল্টাপাল্টি কূটনীতিক বহিষ্কার

ভারতীয় হাইকমিশনারসহ ছয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে কানাডা। সোমবার (১৪ অক্টোবর) তাদের দেশ ছাড়ার নির্দেশ দেয় ওটাওয়া। শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা এবং কানাডায় ভারতীয় ভিন্নমতাবলম্বীদের লক্ষ্য করার বৃহত্তর প্রচেষ্টার অভিযোগে এই পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটি। খবর রয়টার্সের।

কানাডার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, নিজ্জর মামলায় এই ছয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে কানাডিয়ান পুলিশের যথেষ্ট, স্পষ্ট এবং শক্ত প্রমাণ সংগ্রহ এবং অত্যন্ত বিবেচনার পরই তাদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ওটাওয়ার এই পদক্ষেপের আগে কানাডার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারসহ দেশটির ছয়জন কূটনীতিককে দিল্লি ছাড়তে বলে ভারত সরকার। কানাডা থেকে ভারতীয় হাইকমিশনার সঞ্জয় কুমার ভার্মাকে দেশে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত জানানোর দিনেই ভারতের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেয়া হয়। দিল্লির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কানাডার হাইকমিশনারসহ ছয় কূটনীতিককে আগামী শনিবারের মধ্যে নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব নিয়ে দুই কমনওয়েলথভুক্ত দেশের মধ্যে টানাপোড়েন আবারও নতুন করে দেখা দিলো। নিজ্জর নিহত হওয়ার পর ২০২৩ সালে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সে দেশের সংসদে ওই হত্যার সঙ্গে ভারত জড়িত বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। এ নিয়ে তখন থেকেই দুই দেশের সম্পর্কে ব্যাপক অবনতি হয়েছিল। 

গত রোববার (১৩ অক্টোবর) কানাডা সরকারের তদন্তকারী সংস্থা নিজ্জার হত্যা মামলায় ভারতীয় হাইকমিশনারকে ‘স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি’ বলে উল্লেখ করে। কূটনৈতিক ‘রক্ষাকবচ’ থাকায় তার বিরুদ্ধে কোনো আইনি পদক্ষেপ করা হয়নি বলে জানায় দেশটি। কানাডা সরকারের এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে নয়াদিল্লি-অটোয়া কূটনৈতিক  টানাপোড়েন আবারও নতুন করে দেখা দিলো।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সরকারের এই পদক্ষেপ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও অযৌক্তিক। বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও কানাডা সরকার নিজ্জার হত্যাকাণ্ডে ভারতের জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ দেয়নি।

তবে কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছেন, সরকারের কাছে এখন স্পষ্ট এবং যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে যে ভারত সরকারের এজেন্টরা জননিরাপত্তার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ হুমকি সৃষ্টিকারী কার্যকলাপে জড়িত এবং তা চালিয়ে যাচ্ছে।