উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে আবারও ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে ২১ জন নারীসহ অন্তত ৩৩ জন নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাতে এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জাবালিয়ায় ইসায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। হামলায় ৮৫ জনেরও বেশি লোক আহত হয়েছে। অনেকের অবস্থা গুরুতর। শিবিরের তিনটি পরিবারের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে যাওয়ায় মৃতের সংখ্যা ৫০-এ পৌঁছাতে পারে।
উত্তর গাজার আল-আওদা হাসপাতালের পরিচালক বিবিসিকে বলেছেন, ‘অ্যাম্বুলেন্স কর্মীরা এখনও জাবালিয়া থেকে নিহত ও আহতদের উদ্ধারের চেষ্টা করছেন। আমাদের হাসপাতালের ওয়ার্ডগুলো পূর্ণ এবং অনেক আহত ব্যক্তি মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।’
গাজা যুদ্ধ নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ‘লেবাননে যুদ্ধবিরতির বিষয়টি নিয়ে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। তবে গাজায় তা কঠিন হবে।’
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, প্রায় দুসপ্তাহ ধরে উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবির ঘিরে রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। প্রায় ৪ লাখ ফিলিস্তিনি সামান্য খাবার বা পানি নিয়ে শরণার্থী শিবিরের ভেতরে আটকা পড়েছেন। ইসরায়েলি বাহিনী নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে সেখানে। ওষুধ, খাবার ও পানি সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে।
জাতিসংঘের মানবিক সহায়তার অফিসের প্রধান জর্জিওস পেট্রোপোলোস বিবিসির নিউজ আওয়ার প্রোগ্রামে বলেছেন, ‘জাবালিয়ায় পরিবারগুলো নৃশংস পরিস্থিতি সহ্য করছে। সেখানে বেসামরিক নাগরিকদের জন্য পরিস্থিতি কতটা ভয়ঙ্কর এবং বিপজ্জনক তা নিয়ে বলার সুযোগ নেই।’
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে রকেট হামলা চালায় ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এতে ১ হাজার ২০০ মানুষ নিহত হয় বলে জানায় ইসরায়েল। এরপর গাজায় ব্যাপক হামলা শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ।
গাজায় গত এক বছর ধরে চলা ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৪৩ হাজার ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন এক লাখেরও বেশি মানুষ।