আন্তর্জাতিক

গাজার বাইরে থেকে নতুন নেতা বেছে নিতে পারে হামাস

গাজার বাইরে অবস্থানরত নেতাদের মধ্য থেকে সম্ভবত নতুন শীর্ষনেতৃত্বকে বেছে নেবে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। ইসরায়েলি হামলা নিহত দলটির শীর্ষনেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের ভাই  মোহাম্মদ সিনওয়ার গাজা থেকেই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনার জন্য একটি বড় ভূমিকা গ্রহণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। শনিবার বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

হামাসের পলিটব্যুরোর সব সদস্য এখন কাতারে অবস্থান করছেন। নতুন নেতৃত্বের জন্য হামাসকে তাই কেবল তাদের প্রধান সমর্থক ইরানের পছন্দকে প্রাধান্য দিলেই চলবে না, বরং কাতারের স্বার্থের বিষয়টিও বিবেচনায় নিতে হবে।

বুধবার একটি বন্দুকযুদ্ধে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে নিহত হন ইয়াহিয়া সিনওয়ার। তিন মাসেরও কম সময়ের মধ্যে দ্বিতীয়বার হামাস তার শীর্ষ নেতাকে হারিয়েছে। দলটির আগের প্রধান ইসমাইল হানিয়াহকে জুলাই মাসে ইরানে হত্যা করা হয়েছিল ইসরায়েল। যখন সিনওয়ার তার স্থলাভিষিক্ত হন, তখন তিনি গাজার সামরিক ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব উভয়কে একত্রিত করেছিলেন। কিন্তু এবার তার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।

সিনওয়ারের ডেপুটি ছিলেন খলিল আল-হাইয়া। তাকে একজন সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসাবে দেখা হচ্ছে। শুক্রবার তিনি এক বার্তায় বলেছেন, ইসরায়েলি সেনারা গাজা থেকে প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত এবং যুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত ইসরায়েলি জিম্মিদের ফিরিয়ে দেওয়া হবে না।

দ্রুত এবং দক্ষতার সাথে নতুন নেতা নিয়োগের ইতিহাস রয়েছে হামাসের। দলটির শুরা কাউন্সিল নতুন প্রধানের নামকরণের দায়িত্ব পালন করে থাকে। শুরা কাউন্সিল গাজা উপত্যকা, পশ্চিম তীর, ইসরায়েলি কারাগার এবং ফিলিস্তিনি প্রবাসীদের সকল হামাস সদস্যদের প্রতিনিধিত্ব করে। তবে নতুন নেতৃত্ব বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে নিশ্চিতভাবেই কাতারের সঙ্গে আলোচনার পর্বটি সেরে নেবে শুরা কাউন্সিল।