ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেছেন, অযোধ্যার বাবরি মসজিদের স্থলে রাম মন্দির নির্মাণের রায় দেওয়ার আগে তিনি দেবতার কাছে প্রার্থনা করেছিলেন সমাধানের জন্য। দেবতাই এই সমস্যা সমাধানের পথ দেখিয়েছেন।
২০১৯ সালে অযোধ্যার বাবরি মসজিদের স্থানটিতে একটি হিন্দু মন্দির বানানোর পক্ষে রায় দেয় ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ এক সর্বসম্মত রায়ে বলেছে, অযোধ্যার যে ২ দশমিক ৭৭ একর জমি নিয়ে বিতর্ক ছিল বহুকাল ধরে সেখানে রামমন্দিরই হবে। আর মুসলমানদের মসজিদের জন্য অন্য কোথায় ৫ একর জমি দেওয়া হবে। আদালতের এই পাঁচ সদস্যের বেঞ্চের সদস্য ছিলেন বর্তমান প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। আদালত এটাও জানিয়েছিল যে, কোনো পুরাতাত্মিক প্রমাণ নয়, অযোধ্যায় মন্দির সংলগ্ন স্থানে জম্মগ্রহণ করেছিলেন রামচন্দ্র। আর সেই স্থানের মালিক তিনিই। এই বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে জমির মালিকানা দেওয়া হয় মামলার হিন্দু পক্ষকে।
নিজ এলাকা খেদ তালুকের নিজ কান্হেরসার গ্রামের বাসিন্দাদের দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি বলেছেন, প্রায়ই আমরা এমন মামলা (বিচারের জন্য) পাই যেখানে আমরা সমাধানে পৌঁছাই না। অযোধ্যার সময় (রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ বিবাদ) এমনই কিছু ঘটেছিল যা তিন মাস ধরে আমার সামনে ছিল। আমি দেবতার সামনে বসেছিলাম এবং তাকে বলেছিল তার একটি সমাধান খুঁজে বের করতে হবে।’
তিনি নিয়মিত উপাসনা করেন উল্লেখ করে বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, ‘বিশ্বাস করুন, বিশ্বাস থাকলে ভগবান সবসময় পথ বের করে দেবেন।’