আন্তর্জাতিক

নির্বাচনি প্রচারে কমলার ব্যয় ২২০ মিলিয়ন ডলার, ট্রাম্প ৭৮ মিলিয়ন

আর মাত্র দুই সপ্তাহ বাকি মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। এ অবস্থায় জোরেশোরে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন ডেমোক্রেট প্রার্থী কমলা হ্যারিস ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ফেডারেল ইলেকশন কমিশনে জমা দেওয়া আর্থিক বিবরণী থেকে জানা গেছে, সেপ্টেম্বর মাসে নির্বাচনি প্রচারণায় কমলা তার প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্পের তুলনায় প্রায় চারগুণ বেশি অর্থ ব্যয় করেছেন।

সোমবার (২১ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

রোববার (২০ অক্টোবর) ফেডারেল ইলেকশন কমিশনের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর মাসে হ্যারিস তার প্রচারণায় বিজ্ঞাপন বাবদ ২৭০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছেন। বিপরীতে সাবেক প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রচারণায় বিজ্ঞাপন বাবদ ৭৮ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছেন।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ব্যাপক প্রচার-প্রচারণার ফলে আগামী ৫ নভেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে দুই প্রার্থীর মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। বেশিরভাগ জরিপের ফলাফল, ট্রাম্প ও হ্যারিসের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস দিয়েছে। এমনকি দোদুল্যমান ৭টি অঙ্গরাজ্যেও (ব্যাটল গ্রাউন্ড নামেও পরিচিত রাজ্যগুলোতে) হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া গেছে। 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নির্বাচনি দৌড় থেকে গত জুলাই মাসে সরে দাঁড়ান। এরপর ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ডেমোক্র্যাট পার্টির প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা শুরু করার পর থেকে বড় তহবিল তৈরি করেছেন।

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে হ্যারিস বেশিরভাগ ছোট দাতাদের কাছ থেকে ট্রাম্পের চেয়ে বেশি অর্থ সংগ্রহ করেন। এর ফলে সেপ্টেম্বরে ট্রাম্পের প্রচারণা শিবির যেখানে ৬৩ মিলিয়ন ডলার তহবিল পেয়েছে, সেখানে হ্যারিসের প্রচারণা শিবির সংগ্রহ করে ২২২ মিলিয়ন ডলার। 

ট্রাম্পের প্রচারণা তহবিলে বিলিয়নিয়ার ইলন মাস্কসহ বেশিরভাগ ধনকুবের অনুদান দিয়েছেন। ট্রাম্পকে সমর্থনকারী প্রচারণা সংস্থায় বিলিয়নিয়ার টিমোথি মেলন সেপ্টেম্বর মাসে ৭৫ মিলিয়ন ডলার অনুদান দেন,,যা একক ব্যক্তি হিসেবে সর্বোচ্চ।

হ্যারিসের প্রচারণা শিবির ফেডারেল নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছে, অক্টোবরে তারা ১৮৭ মিলিয়ন ডলার তহবিল সংগ্রহ করেছে। অন্যদিকে ট্রাম্পের প্রচারণা শিবির ১২০ মিলিয়ন ডলার তহবিল সংগ্রহের কথা জানিয়েছে।

ডেমোক্রেট প্রার্থী কমলা বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার চালানোর সুবিধা পেলেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রচার ব্যয়ের পরিমাণ নির্বাচনী ফলাফল নিশ্চিত করে না। 

২০১৬ সালের নির্বাচনে ডেমোক্রেটদের তুলনায় কম তহবিল জোগাড় করার সত্ত্বেও ট্রাম্প হিলারি ক্লিনটনকে পরাজিত করেছিলেন।