আন্তর্জাতিক

হিজবুল্লাহর অর্থবিষয়ক প্রধানকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের

লেবাননের শিয়াপন্থি রাজনৈতিক দল ও সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর অর্থবিষয়ক প্রধানকে হত্যার দাবি করেছে ইসরায়েল।

সোমবার (২১ অক্টোবর) ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি এক বিবৃতিতে এ দাবি করেন। খবর আল অ্যারাবিয়ার।

তিনি বলেন, ‘কয়েক ঘণ্টা আগে হিজবুল্লাহর অর্থবিষয়ক সর্বশেষ কমান্ডারকে সিরিয়ায় ‘নির্মূল’ করা হয়েছে। তবে হিজবুল্লাহর এই কমান্ডারের নাম প্রকাশ করেনি ইসরায়েল।

বিবৃতিতে হাগারি আরও বলেন, এই ব্যক্তি ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহর ‘ইউনিট ৪৪০০ ’-এর প্রধান ছিলেন। ইরানের তেল বিক্রির মাধ্যমে সংগঠনে অর্থ স্থানান্তরসহ হিজবুল্লাহর তহবিল জোগানোর দায়িত্বে ছিলেন তিনি।

আগে হিজবুল্লাহর এই ইউনিটটির নেতৃত্বে মোহাম্মদ জাফর কায়সার ছিলেন বলে জানান ড্যানিয়েল হাগারি। তিনি আরও বলেন, শেখ সালাহ নামেও পরিচিত ছিলেন জাফর।

ড্যানিয়েল হাগারি বলেন, জাফর বছরের পর বছর ধরে হিজবুল্লাহর আয়ের প্রধান উৎস দেখভাল করে আসছিলেন। চলতি অক্টোবরের শুরুতে লেবাননের রাজধানী বৈরুতে হামলা চালিয়ে তাকে নির্মূল করে ইসরায়েল।

সোমবার সকালে সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, দেশটিতে ইসরায়েলি হামলায় দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। একটি গাড়ি নিশানা করে এই হামলা চালানো হয়।

সিরিয়ার যুদ্ধ পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, সিরীয় নন এমন এক ব্যক্তিকে নিশানা করে এই হামলা হয়। হামলাকালে এই ব্যক্তি গাড়ি চালাচ্ছিলেন। হামলাস্থলের আশপাশের এলাকায় হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের জন্য একটি স্মৃতিচারণা অনুষ্ঠিত হচ্ছিল। 

এর আগে রোববার রাতে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী দক্ষিণ লেবানন ও বিরুতে হিজবুল্লাহর অর্থ জোগানদাতা ব্যাংক আল কার্দ আল হাসান অ্যাসোসিয়েশনের বিভিন্ন শাখায় বিমান হামলার তথ্য জানায়।

আইডিএফের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এই হামলা হিজবুল্লাহর সন্ত্রাসী কার্যক্রমের ক্ষতি করার চলমান প্রচেষ্টার অংশ। এর ফলে হিজবুল্লাহর সামরিক কার্যক্রম ব্যাহত হবে এবং হিজবুল্লাহকে তার সামরিক সক্ষমতা পুনরুদ্ধার করা কঠিন করে তুলবে।’ 

গত মাসের শেষ দিকে হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ ইসরায়েলি হামলায় নিহত হন।