আন্তর্জাতিক

পশ্চিমবঙ্গে ‘ডানা’ আতঙ্ক

বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’য় পরিণত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সেই আশঙ্কার কথা মাথায় রেখে আগামী ২৩ থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত রাজ্যের নয় জেলার সব স্কুলে ছুটি থাকবে। মঙ্গলবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ ঘোষণা দিয়েছেন। পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় বুধবার থেকেই সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় সতর্কতা জারি করা হচ্ছে। খবর আনন্দবাজার অনলাইন।

আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, বুধবার রাত এবং বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে ওড়িশার পুরী ও পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপের মধ্যবর্তী কোনো অংশ দিয়ে স্থলভাগে ঢুকতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলার উপর পড়তে পারে। দুই ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে বেশি প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া, এই তিন জেলার পার্শ্ববর্তী কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে প্রভাব পড়তে পারে। এই নয় জেলাতে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। 

মমতা বলেন, ‘দুর্যোগ মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই ইন্ট্রিগ্রেটেড কন্ট্রোলরুম চালু করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা সেই কন্ট্রোল রুম খোলা থাকছে। বুধবার থেকেই মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। মাইকিং চলছে সর্বত্র।’

তিনি জানান, উপকূলবর্তী নিচু এলাকা থেকে মানুষকে সরিয়ে আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। মোতায়েন করা হয়েছে রাজ্য এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। বন্ধ থাকবে ফেরি চলাচল। দুর্যোগের আশঙ্কা কাটার পরই আবার ফেরি চলাচল শুরু হবে। পাশাপাশি সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় পর্যটকদের যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ করারও নির্দেশ দিয়েছে সরকার। আগেভাগেই জেলাগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণের ব্যবস্থা করার কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, নিম্নচাপটি ক্রমশ পশ্চিম এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে। আরো ঘনীভূত হয়ে বুধবার সকালেই ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে নিম্নচাপটি। বঙ্গোপসাগরের একাংশ এখন থেকেই উত্তাল হতে শুরু করেছে। সোমবার থেকেই পূর্ব ও মধ্য বঙ্গোপসাগর উত্তাল রয়েছে। বৃহস্পতিবার সমুদ্র আরো উত্তাল হবে।