আন্তর্জাতিক

তুরস্কের বিমান সংস্থায় হামলা, নিহত ৫

তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারার কাছে একটি বিমান সংস্থার সদর দপ্তরে বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত পাঁচ জন নিহত ও ২২ জন আহত হয়েছেন। হতাহতের সংখ্যাটি নিশ্চিত করেছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার (২৩ অক্টোবর) আঙ্কারার কাহরামানকাজানে তুর্কি অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজের (টিআই) স্থাপনায় সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, এক নারীসহ কমপক্ষে দুজন টিএআইয়ের প্রবেশদ্বারে লোকজনে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ছে। আঙ্কারা থেকে টিএআইয়ের দপ্তরের দূরত্ব ২৫ মাইলের মতো।

তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট সেভদেত ইলমাজ বলেছেন, নিহতদের মধ্যে চারজন টিআইয়ের কর্মী এবং পঞ্চমজন একজন ট্যাক্সি ড্রাইভার। আহত ২২ জনের মধ্যে সাতজন বিশেষ অপারেশন বাহিনীর সদস্য। 

স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, হামলাকারীরা হামলা চালানোর আগে তাদের ক্যাব চালককে হত্যা করে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলি ইয়ারলিকায়া বলেছেন, দুই হামলাকারী, একজন নারী ও একজন পুরুষকে ‘নিরস্ত্র’ করা হয়েছে। 

কোনো গোষ্ঠী এখনও হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, এই হামলায় সম্ভবত কুর্দি বিদ্রোহী গোষ্ঠী পিকেকে জড়িত ছিল।

এই ঘটনায় রাশিয়ায় ব্রিকস সম্মেলনে থাকা তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান নিন্দা জানিয়েছেন। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে এক বৈঠকের সময় তিনি এ ঘটনাকে একটি জঘন্য সন্ত্রাসী হামলা বলে উল্লেখ করেন।

পিকেকে তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে নিষিদ্ধ। তুরস্কে কুর্দি সংখ্যালঘুদের বৃহত্তর অধিকারের জন্য ১৯৮০ সাল লড়াই করছে।

ভয়াবহ এই হামলার ঘটনায় রাশিয়ায় ব্রিকস সম্মেলনে থাকা তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান নিন্দা জানিয়েছেন। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে এক বৈঠকের সময় টিভিতে সরাসরি সম্প্রচারিত মন্তব্যে তিনি এ ঘটনাকে একটি জঘন্য সন্ত্রাসী হামলা বলে উল্লেখ করেন।

 

তিনি পরে এক্স-এ একটি দীর্ঘ বিবৃতি পোস্ট করে বলেন, ‘নিরাপত্তা বাহিনী হুমকিকে নিরস্ত্র করার জন্য দ্রুত কাজ করেছে। কোনো সন্ত্রাসী সংগঠন, আমাদের নিরাপত্তাকে লক্ষ্য করে কোনো মন্দ ফোকাস তাদের লক্ষ্য অর্জন করতে সক্ষম হবে না।’

তুর্কি কর্তৃপক্ষ হামলার বিস্তারিত বিবরণের প্রচারে সংবাদমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। দেশটির বেশিরভাগ অঞ্চলের বাসিন্দারা ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক এবং এক্স এর মতো সোশ্যাল মিডিয়া সাইটগুলো ব্যবহার করতে পারছেন না বলে জানিয়েছে।

তুরস্কের রেডিও এবং টিভি সুপ্রিম কাউন্সিলের সভাপতি ইবুবেকির সাহিন হামলার ঘটনার সাথে সম্পর্কিত সব ছবি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে মুছে ফেলা উচিত বলে সতর্ক করেছেন। ব্যবহারকারীদের ‘সন্ত্রাসবাদের উদ্দেশ্য পূরণ করবে’ এমন ছবি শেয়ার না করার জন্য অনুরোধ করেছেন।

টিআই হলো তুরস্কের মহাকাশ খাতের গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা। বাণিজ্যিক ও সামরিক ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন বিমানের নকশা, উন্নয়ন ও উৎপাদন করে থাকে টিআই।