আন্তর্জাতিক

উপকূল থেকে ১০ লাখের বেশি মানুষকে সরিয়ে নিচ্ছে ওড়িশা

বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করা ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি আজ বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকালের মধ্যে ওড়িশা রাজ্যের ভিতরকণিকা জাতীয় উদ্যান এবং ধামারা বন্দরের মধ্যবর্তী অংশে আছড়ে পড়বে ‘দানা’। স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সময় এর গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার। দমকা বাতাসের গতি কখনও কখনও ১২০ কিলোমিটারও হতে পারে।

ইন্ডিয়ার এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের জেরে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এবং হতাহত এড়াতে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে রাজ্যে সরকার। ওড়িশায় ঝুঁকিতে থাকা বিশেষত উপকূলীয় অঞ্চল থেকে ৯০ শতাংশ বা ১০ লাখের বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত চার লাখের বেশি বাসিন্দাকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) বেলা ১১টার মধ্যে নির্ধারিত ৯০ শতাংশ মানুষকেই নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি। 

ওড়িশায় ১৪টি জেলায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২৫ তারিখ পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে। পুরী-সহ বিভিন্ন পর্যটক আকর্ষক স্থানগুলো পর্যটকশূন্য করে দেয়া হয়েছে। পুরীর প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাজ্যের ভিতর থেকেও প্রচুর বয়স্ক মানুষ প্রতিদিন জগন্নাথ মন্দির দর্শন করতে আসেন। ঘূর্ণিঝড়ের কথা মাথায় রেখে বৃহস্পতি ও শুক্রবার বয়স্কদের মন্দিরে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দেয়া হয়েছে।

কটক হাইকোর্ট, ভিতরকণিকা ওয়াইল্ড লাইফ স্যাংচুযারি, নন্দনকানন জু, সিমলিপাল টাইগার রিজার্ভ, গ্রন্থাগার, আর্কাইভ, যাদুঘরও বৃহস্পতি ও শুক্রবার বন্ধ থাকবে।

এদিকে, সময় যত এগিয়ে আসছে ততই ভয়াবহ হয়ে উঠছে ওড়িশার বন্দর এলাকা ধামারার পরিস্থিতি। মুষলধারে বৃষ্টির সঙ্গে শুরু হয়েছে তুমুল ঝড়। উদ্ধারকারীদের ১৮২টি দলকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।