আন্তর্জাতিক

জাপানে সাধারণ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে

গত কয়েক বছর ধরে অস্থিরতার পর নতুন নেতা নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন জাপানবাসী।

রোববার (২৭ অক্টোবর) সকালে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। চলবে রাত ৮টা পর্যন্ত। তবে নির্বাচনে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল আশা করতে পারছে না ক্ষমতাসীন দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

মতামত জরিপে দেখা গেছে, রক্ষণশীল এলডিপি ও জোট সরকারের অংশীদার দলগুলো ক্ষমতায় আসার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাতে যাচ্ছে। আর তা যদি হয় তবে তা শিগেরু ইশিবাকে ভীষণ বিপদেই ফেলবে।

সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ৬৭ বছর বয়সী শিগেরু ইশিবা ক্ষমতায় এসেই আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেন। গত প্রায় সাত দশক ধরে জাপানে সরকার পরিচালনার অভিজ্ঞতা রয়েছে ইশিবার দল এলডিপির। তবে সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সময়ে দ্রব্যমূলের ঊর্ধ্বগতি ও দলের তহবিল কেলেঙ্কারির দায়ে এলডিপির প্রতি বেশ বিরক্ত বিশ্বের চতুর্থ বৃহৎ অর্থনীতির দেশের জনগণ। 

জনগণকে আশ্বস্ত করার চেষ্টায় ইশিবা শনিবার তার নির্বাচনি সমাবেশে বলেন, ‘আমরা সুষ্ঠু, ন্যায়সঙ্গ ও অনুগত দল হিসেবে সবকিছু নতুন করে শুরু করতে চাই, আর এজন্য প্রয়োজন আপনাদের সমর্থন।’

ইশিবা প্রতিশ্রুতি দেন গ্রামাঞ্চলের উন্নয়নের। পাশাপাশি দেশের জনসংখ্যা কমে যাওয়া রোধে পরিবারবান্ধব নীতি প্রণয়নের ওপর জোর দেন তিনি। এক্ষেত্রে তিনি নমনীয় কর্মঘণ্টার ওপর আলোকপাত করেন তার প্রচারণায়। এছাড়া নিরাপত্তা নীতিমালার আলোকে তিনি চীনকে মোকাবিলায় ন্যাটোর সঙ্গে একটি আঞ্চলিক সামরিক জোট গঠনের বিষয়ে তার পরিকল্পনা তুলে ধরেন। তবে এটি রাতারাতি হবে না বলেও তিনি সতর্ক অবস্থানে থেকে তার মতামত প্রকাশ করেন।

গত শুক্রবার ইয়োমিউরি শিম্বুন পত্রিকার জনমত জরিপ ধারণা দিয়েছে, এলডিপি ও তাদের জোটের অংশীদার কোমেইতো নিম্নকক্ষের জন্য প্রয়োজনীয় ২৩৩টি আসন না-ও পেতে পারে। আর এর অর্থ হচ্ছে ইশিবাকে তার জোট সরকারের জন্য আরও দল খুঁজতে হবে।

স্থানীয় পত্রিকাগুলো বলছে, শিগেরু ইশিবা হয়তো পদত্যাগও করতে পারেন। আর যদি তা হয় তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাপানে তিনিই হবেন সবচেয়ে কম সময়ের প্রধানমন্ত্রী। এ বিষয়ে জাপানি গণমাধ্যমকে ইশিবা বলেন, ‘পরিস্থিতি খুবই জটিল।’

বেশ কিছু জেলায় এলডিপি প্রার্থীরা দেশটির কনস্টিটিউশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (সিডিপি) প্রার্থীদের সঙ্গে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পড়েছেন। সিডিপি হলো দেশটির পার্লামেন্টের দ্বিতীয় বৃহত্তম দল।  আর এর নেতৃত্বে আছেন সাবেক মন্ত্রী ইয়োশিহিকো নোডা।

সূত্র: জাপান টাইমস, বিবিসি