মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, যদি তিনি ৫ নভেম্বরের নির্বাচনে জয়ী হন, তাহলে আমেরিকান পণ্য যথেষ্ট না কেনার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নকে (ইইউ) ‘বড় মূল্য দিতে হবে’।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) পেনসিলভানিয়ার নির্বাচনী অঞ্চলে এক সমাবেশে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি আপনাদের বলছি, ইউরোপীয় ইউনিয়ন খুব সুন্দর, খুব চমৎকার শোনায়, তাই না? ইউরোপের সব ছোট ছোট চমৎকার দেশগুলো একসাথে মিলেছে।’
তিনি বলেন, ‘তারা আমাদের গাড়ি নেয় না। তারা আমাদের কৃষি পণ্য নেয় না। তারা যুক্তরাষ্ট্রে লাখ লাখ গাড়ি বিক্রি করে। না, না, না, তাদের বড় মূল্য দিতে হবে।’
এবারের নির্বাচনে ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে সব দেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক এবং চীন থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ৬০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন। অর্থনীতিবিদরা সতর্ক করে বলছেন, এতে বিশ্বজুড়ে সরবরাহ শৃঙ্খলে প্রভাব পড়বে। পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে জিনিসপত্রের খরচ বাড়বে।
ট্রাম্প তার পেনসিলভানিয়ার জনসভায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পাশাপাশি তাইওয়ানকেও হুমকি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তাইওয়ানকে তাদের প্রতিরক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে অর্থ প্রদান করতে হবে এবং তারা যুক্তরাষ্ট্রের সেমিকন্ডাক্টর ব্যবসা নিয়ে নিয়েছে। চীনের দাবিকৃত তাইওয়ানের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকলেও যুক্তরাষ্ট্র আইন অনুযায়ী দেশটিকে আত্মরক্ষায় সহায়তা দিতে বাধ্য।
ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্রেট প্রার্থী কমলা হ্যারিস মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে তার জনসভায় সতর্ক করে বলেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প সীমাহীন ক্ষমতা চাচ্ছেন। তিনি বলেন, ট্রাম্প এমন একজন ব্যক্তি যিনি অস্থিতিশীল, প্রতিশোধে মগ্ন, অভিযোগে ভরপুর এবং সীমাহীন ক্ষমতা চাচ্ছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি চার বছর পর পর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নভেম্বর মাসের প্রথম মঙ্গলবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। সে হিসেবে আগামী ৫ নভেম্বর নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য ভোট দেবেন মার্কিন ভোটাররা।