প্রয়াত মিশরীয় ধনকুবের মোহাম্মদ আল ফায়েদের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলা নিয়ে কাজ করা আইনী দলের সাথে এখনও পর্যন্ত চার শতাধিক ভুক্তভোগী যোগাযোগ করেছেন। আইনজীবী ডিন আর্মস্ট্রং বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছেন।
সেপ্টেম্বরে ‘আল ফায়েদ: হ্যারোডসের শিকারি’ শিরোনামে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রকাশ করে। তাতে তুলে ধরা হয়, যুক্তরাজ্যের অভিজাত বিপণিবিতান হ্যারোডসের নারী কর্মীদের ওপর এর মালিক আল ফায়েদের যৌন নিপীড়নের নানা তথ্যপ্রমাণ। হ্যারোডসের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ওই সময় ফায়েদের এসব কর্মকাণ্ডে কোনো হস্তক্ষেপ করেনি, বরং অভিযোগগুলো ধামাচাপা দেওয়ায় ভূমিকা রেখেছিল।
২০২৩ সালে ৯৪ বছর বয়সে মারা যান আল-ফায়েদ। প্রামাণ্যচিত্রে তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছিলেন হ্যারোডসের পাঁচ নারী কর্মী।
লন্ডনে এক সংবাদ সম্মেলনে আর্মস্ট্রং বলেন, ‘আল ফায়েদের সংঘটিত অপরাধ এবং তার আশেপাশের লোকদের সাহায্য করার বিষয়ে অভিযোগের মাত্রা বেড়েই চলেছে।’
আরেক আইনজীবী ব্রুস ড্রামন্ড জানিয়েছেন, বিশ্বজুড়ে চার শতাধিক অভিযোগ করেছেন নারীরা, যার বেশিরভাগই ব্রিটেনের কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, স্পেন, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং অন্যান্য দেশ থেকে।
তিনি বলেন, ‘এটি, আমাদের মতে, এটি একটি শিল্প মাপের অপব্যবহার।’
এই আইনজীবী জানান, ‘হ্যারডসের দেয়ালের মধ্যে’ এই অপব্যবহারের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া আল ফায়েদের ব্যবসায়িক সাম্রাজ্যের সাথে যুক্ত অন্যান্য স্থানেও, যেমন ফুলহাম ফুটবল ক্লাব, রিটজ প্যারিস এবং সারে-তে তার বাড়িতে এসব ঘটনা ঘটেছে।