যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এমন একটি পদ্ধতি রয়েছে, যা প্রার্থীর ভাগ্যের শিকে ছিড়তে পারে আবার সব কিছু বরবাদ করে দিতে পারে। একে বলা হয় ‘ইলেক্টোরাল কলেজ’ পদ্ধতি। অর্থাৎ ভোটের পর আরো এক ভোট ব্যবস্থা, যা কার্যত প্রার্থীর প্রেসিডেন্ট হওয়া না হওয়ার ভাগ্যের নির্ণায়ক হয়ে ওঠে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৫ নভেম্বর ভোট গ্রহণ হতে যাচ্ছে। এবারের প্রধান দুই প্রার্থী সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ক্ষমতাসীন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের যে কেউ নাগরিকের দেওয়ার মোট ভোটের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পেলেই তিনি যে বিজয়ী হবেন, এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই। তাকে ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটেও জিততে হবে।
সোজা কথায় যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের সরাসরি ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন না, তাদের ভোটের ওপর ভিত্তি করে রাজ্যভিত্তিক নির্দিষ্ট সংখ্যক ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট রয়েছে, সেখানেই চূড়ান্ত জয়-পরাজয় নির্ধারণ হয়।
২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দেশটির ৫০টি রাজ্য মিলে সেবারের আলোচিত প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন কয়েক লাখ বেশি ভোট পেয়েও শেষপর্যন্ত ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটে হেরে যান।
ডিজিটাল তথ্যভাণ্ডার ‘ব্রিটানিক’র তথ্য অনুযায়ী, সেবার সারা দেশ মিলে হিলারি পেয়েছিলেন ৬ কোটি ৫৮ লাখ ৫৩ হাজার ৫৩ হাজার ৫১৪ জন নাগরিকের ভোট, যা মোট গৃহীত ভোটের ৪৮ দশমিক ২ শতাংশ ছিল; অথচ তিনি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট পান মাত্র ২২৭টি।
বিজয়ী প্রার্থী ট্রাম্প জনগণের ভোট পেয়েছেছিলেন ৬ কোটি ২৯ লাখ ৮৪ হাজার ৮২৮টি, যা মোট গৃহীত ভোটের ৪৬ দশমিক ১ শতাংশ। অর্থাৎ হিলারির চেয়ে ট্রাম্প ২৮ লাখ ৬৮ হাজার ৬৮৬টি ভোট কম পেয়েও জিতে যান। কারণ তিনি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট পেয়েছিলেন ৩০৪টি।
আসলে এই পদ্ধতি কীভাবে কাজ করে তা নিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে একটি ব্যাখ্যা হাজির করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি রাজ্যে ভোট গ্রহণ হবে ৫ নভেম্বর। এর মধ্যে যে প্রার্থী যে রাজ্যে জয়ী হবেন, সেই রাজ্যের সব ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট তিনি পাবেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কোন রাজ্যে কতটি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট, তার মনচিত্র।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইলেক্টোরাল কলেজের মোট ভোটের সংখ্যা ৫৩৮টি। এগুলো আসন নয়, বরং ৫০টি রাজ্যের নির্ধারিত প্রতিনিধি (ডেলিগেট), যারা রাজ্যের ভোটারদের ভোটের প্রতিনিধি হিসেবে জয়ী প্রার্থীর জন্য আবার ভোট দেন। এই পদ্ধতিকে ‘জয়ী-ই সব পাবেন’ পদ্ধতিও বলা যায়।
যেমন- নিউ ইয়র্ক রাজ্যে কমলা হ্যারিস যদি এক ভোটের ব্যবধানেও জেতেন, তাহলে তিনি এই রাজ্যের সব ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট পাবেন; আবার ক্যালিফোনিয়াতেও যদি হিলারি জেতেন, তাহলেও তিনি সব ইলেক্টোরাল ভোট পাবেন। আবার দেখা গেল ফ্লোরিডা, ট্রেক্সাস ও পেনসিভানিয়ায় ট্রাম্প জিতলেন। এই তিন রাজ্য মিলে নিউ ইয়র্ক ও ক্যালিফোর্নিয়ার চেয়ে ট্রাম্প কম ভোট পেলেও তিনি রাজ্যের ইলেক্টোরাল ভোটের সংখ্যা বেশি। এভাবেই সব রাজ্যে হিসাব হয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তবে ইলেক্টোরাল ভোট গণনার সময় মাইন ও নেব্রাসকা রাজ্য দুটি ভোটের হিসাব বাদ রাখা হয়। এই দুই রাজ্য বাদে বাকি রাজ্যগুলোর ইলেক্টোরাল ভোট যোগ দিলে যে প্রার্থী ২৭০টি বা তারও বেশি ভোট পাবেন, তিনিই পরবর্তী চার বছরের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হবেন। আর সেই জয়ী প্রার্থীর রানিং মেট স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন।
যেভাবে কাজ করে ইলেক্টোরাল কলেজ?
যুক্তরাষ্ট্রের যে ৫০টি রাজ্য রয়েছে, তার প্রত্যেকটির জন্য নির্দিষ্ট ইলেক্টোরাল ভোট রয়েছে, যা অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় ওই রাজ্যের জনসংখ্যার সমানুপাতিক হারে বণ্টন করে দেওয়া আছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিস।
ক্যালিফোর্নিয়ায় রয়েছে সবচেয়ে বেশি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট। ভায়োমিং, আলাস্কা, নর্থ ডাকোটা, ওয়াশিংটন ডিসির মতো যেসব রাজ্যের জনসংখ্যা খুবই কম, তাদের হাতে অন্তত তিনটি ইলেক্টোরাল ভোট আছে। সাধারণত রাজ্যগুলো তাদের হাতে থাকা ইলেক্টোরাল ভোট সেই প্রার্থীকেই দেন, যিনি ওই রাজ্যের ভোটারদের সরাসরি ভোটে জয়ী হয়েছেন।
যেমন ধরা যাক, টেক্সাসে একজন প্রার্থী ভোটারদের সরাসরি ভোটের ৫০ দশমিক ১ শতাংশ পেয়েছেন, তাহলে ওই রাজ্যের হাতে থাকা ৪০টি ইলেক্টোরাল ভোটের সবই সেই প্রার্থী পেয়ে যাবেন। একটি রাজ্যে জনগণের ভোটে জয়ের ব্যবধান অনেক বেশি হলেও বিজয়ী প্রার্থী শুধু ওই রাজ্যে যে কয়টি ইলেক্টোরাল ভোট নির্ধারণ করা আছে, সে কয়টিই পাবেন।
২০১৬ সালে জনগণের দেওয়া ভোট বেশি পেয়েও ট্রাম্পের কাছে হেরে যানা হিলারি ক্লিনটন।
ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৬ সালে হিলারি ক্লিনটনের চেয়ে প্রায় ২৯ লাখ কম ভোট পেয়েও ক্লিনটনকে পরাজিত করেছিলেন। জর্জ ডব্লিউ বুশ ২০০০ সালে তার প্রতিদ্বন্দ্বী আল গোরকে পরাজিত করেছিলেন এই ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটের কারণেই। জনগণের দেওয়া সরাসরি ভোটে আল গোর এগিয়ে থাকলেও ইলেক্টোরাল ভোটে হেরে যান তিনি।
বুশ ও ট্রাম্পের আগে আর মাত্র তিনজন প্রার্থী জনগণের সরাসরি ভোটে না জিতেও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন। তবে সেগুলো ঊনবিংশ শতাব্দীর ঘটনা।
ব্রিটানিকা লিখেছে, ইলেক্টোরাল কলেজ পদ্ধতি মূলত প্রত্যেকটি রাজ্যের গুরুত্ব যেন প্রেসিডেন্টরা ভুলে না যান, সেটি নিশ্চিত করতেই করা হয়েছে। তবে নির্বাচনে জিততে প্রার্থীরা বরাবরই বেশি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট থাকা রাজ্যগুলোকেই তাদের প্রচারে কৌশলে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন।
‘ইলেক্টোরাল কলেজ’ কেন বলা হয়?
‘কলেজ’ শব্দ দিয়ে সেই ব্যক্তিদের বোঝানো হয়, যারা একটি রাজ্যের ভোট দেওয়ার বৈধ প্রতিনিধি।
‘ইলেকটোরাল কলেজ’ হচ্ছে প্রতিনিধি বা কর্মকর্তাদের একটি প্যানেল, যাদের ‘ইলেকটরস’ বলা হয়। তারা এক কথায় নির্বাচকমণ্ডলী। প্রতি চার বছর পর পর এটি গঠন করা হয় এবং এই নির্বাচকমণ্ডলী-ই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এবং ভাইস প্রেসিডেন্টকে চূড়ান্তভাবে বেছে নেন। অর্থাৎ জনগণের ভোটের পর প্রতিটি রাজ্যে নির্বাচকমণ্ডলীরা আরও একটি ভোট দেন।
কংগ্রেসে প্রতিনিধিত্বের অনুপাতে প্রতিটি রাজ্যের ইলেকটরসের সংখ্যা নির্ধারিত হয়, যা নির্ধারিত হয় রাজ্যে সিনেটরের সংখ্যা (প্রত্যেক রাজ্যে দুজন) এবং প্রতিনিধি পরিষদে প্রতিনিধির (যা জনসংখ্যার অনুপাতে) যোগফল মিলে।
ইলেক্টোরাল কলেজ পদ্ধতি অনুযায়ী যেসব রাজ্যে জনসংখ্যা বেশি, সেসব রাজ্যে ইলেক্টোরাল ভোটও বেশি। এই প্রথা শুধু প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্যই ব্যবহৃত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের অন্য সব নির্বাচনে জয়-পরাজয় নির্ধারণ হয় জনগণের সরাসরি ভোটেই।
জয়ী প্রার্থী বাদেও ইলেক্টোরাল ভোট দেওয়া যায়, তবে…
কয়েকটি রাজ্যে নির্বাচকদের আইনগতভাবে সেই স্বাধীনতা আছে যে সাধারণ ভোটাররা কাকে পছন্দ করেছেন, তার ওপরে নির্ভর না করে নিজের পছন্দমতো প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন। তবে প্রকৃতপক্ষে দেখা যায়, যিনি সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পেয়েছেন, তাকেই নির্বাচকরা ভোট দিয়েছেন। জনগণ যাকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে বেছে নিয়েছে, তার বিরুদ্ধে যদি কোনো নির্বাচক ভোট দেন, তাকে ‘ফেইথলেস’ বা ‘অবিশ্বাসী’ বলা হয়।
এর আগে ২০১৬ সালের নির্বাচনে এভাবেই সাতটি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট দেওয়া হয়েছিল, তবে নির্বাচনের ফলাফলে তার কোনো প্রভাব পড়েনি। কোনো কোনো রাজ্যে ‘ফেইথলেস’ নির্বাচকদের জরিমানা করা বা মামলা দেওয়া যেতে পারে।
ইলেক্টোরাল ভোট সমান হলে যেভাবে সমাধান হয়?
দুই প্রার্থী যদি সমান ভোট পান, তবে যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভার নিম্ন কক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ভোট দিয়ে ‘টাইব্রেক’ করবেন। এই ঘটনা মাত্র একবারই হয়েছে, সেটি সেই ১৮২৪ সালের কথা। সেবার ইলেক্টোরাল কলেজের ভোট চারজন প্রার্থীর মধ্যে ভাগাভাগি হয়ে যাওয়ায় কেউ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাননি।
ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কমলা হ্যারিস।
রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটিক পার্টি বছরের পর বছর যেভাবে আধিপত্য ধরে রেখেছে, তাতে ওইরকম ঘটনা ঘটনার আর সম্ভাবনা নেই।
ইলেক্টোরাল কলেজ পদ্ধতি কেন বেছে নেওয়া হয়েছিল?
১৭৮৭ সালে যখন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান লেখা হচ্ছিল, তখন বিশাল আয়তনের দেশটিতে দেশটিতে যোগাযোগ সংকটের কারণে জাতীয় স্তরে জনগণের অংশগ্রহণে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আয়োজন করা কার্যত সম্ভব ছিল না।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান প্রণেতারা তখন ইলেক্টোরাল কলেজ পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন। তারা ১৭৮৭ সালে সংবিধান প্রণয়নের সময় কংগ্রেস এবং জনগণের সরাসরি ভোটে (পপুলার ভোট) প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দুটি ধারণাই খারিজ করে নতুন এই পদ্ধতি বেছে নেন।
সংবিধানপ্রণেতারা যুক্তি দিয়েছিলেন যে, জনগণের সরাসরি ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে বড় রাজ্যগুলো বেশি সুবিধা পাবে, তারা আধিপত্য বাড়াতে থাকবে। যুক্তিটি গ্রহণ করে ছোট রাজ্যগুলোর প্রতিনিধিরা। কারণ, ইলেক্টোরাল পদ্ধতিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ক্ষেত্রে তাদের ভূমিকাও গুরুত্ব পাবে।
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণের রাজ্যগুলো ইলেক্টোরাল পদ্ধতির পক্ষে জোরালো অবস্থান নেয়, কারণ তখন এসব রাজ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় দাস ছিল। ভোটাধিকার না থাকলেও জনশুমারির গণনায় তাদেরও রাখা হতো।
সংবিধান প্রণেতারা আরও একটি বিষয়ে সজাগ ছিলেন। তাদের চিন্তায় ছিল এমন একটি ব্যবস্থা, যেখানে শুধু ওয়াশিংটন ডিসিতে বসেই আইনপ্রণেতারা যাতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে না পারেন, সেখানে যেন জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়।
‘ভোটের পরে ভোট’ এর জন্য কিছু অঘটন
যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের নজির স্থাপনকারী ঘটনাটি ছিল ২০০০ সালে। সেবার রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী বুশ ২৭১টি ইলেক্টোরাল ভোট পেয়ে প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাট প্রার্থী আল গোর হেরিয়েছিলেন মাত্র একটি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটে, যেখানে তিনি ৫ লাখ ৪০ হাজার ভোটও বেশি পেয়েছিলেন।
২০০০ সালে জনগণের দেওয়া ভোট বেশি পেয়েও জর্জ ডব্লিউ বুশের কাছে হেরে যান আল গোর।
আরেকটি ঘটনা ১৮৮৮ সালের, রিপাবলিকান প্রার্থী বেঞ্জামিন হ্যারিসন ২৩৩টি ইলেক্টোরাল ভোট পেয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন, যদিও তার চেয়ে ১ লাখ ৪৫৬টি ভোট বেশি পেয়েছিলেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী গ্রোভার ক্লিভল্যান্ড।
ঊনবিংশ শতাব্দীর আরেকটি ঘটনা ১৮৭৬: রিপাবলিকান রাদারফোর্ড বি হেইজ ১৮৫টি ইলেকটোরাল ভোট পেয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন, কিন্তু ডেমোক্র্যাট প্রার্থী স্যামুয়েল জে টিলডেন দুই লাখ ৬৪ হাজার ভোট বেশি পেয়েছিলেন।
১৮২৪ সালেও ঘটেছিল এমন ঘটনা, যেখানে ইলেক্টোরাল কলেজের নির্বাচকমণ্ডলীরা চার প্রার্থীর পক্ষে ভাগ হয়ে গিয়েছিলেন। উদ্ভূত সংকট উত্তরণের প্রচেষ্টায় শেষপর্যন্ত জন কুইন্সি অ্যাডামস প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। অবশ্য অ্যাডামসের চেয়ে জনগণের ভোট বেশি পেয়েছিলেন অ্যান্ড্রু জ্যাকসন।
এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্প ও কমলা জনমত জরিপে শেষ সময়ে এসেও যে টানাটান অবস্থায় রয়েছেন, তাতে তাদের ভোটের ব্যবধান খুব বেশি না হওয়ারই আভাস মিলছে। এতে করে আবার ২০১৬ বা ১৮২৪ এর পুনরাবৃত্তি ঘটলে তাতে বিস্মিত হওয়ার কিছু থাকবে না।