মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিনক্ষণ যতই ঘনিয়ে আসছে ততই সম্ভাব্য বিজয়ীর ব্যাপারে পূর্বাভাস দেওয়া মুশকিল হয়ে পড়ছে। রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ডেমোক্রেট কমলা হ্যারিসের মধ্যে জনপ্রিয়তার ব্যবধান কমে আসতে শুরু করেছে বলে সর্বশেষ জরিপে জানা গেছে। কে আপাতদৃষ্টিতে স্থায়ী অচলাবস্থার মধ্যে এবং মঙ্গলবার তাদের মধ্যে কোনটি বিজয়ী হবে সে সম্পর্কে কিছু সূচনা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণা শেষ সপ্তাহান্তে প্রবেশ করেছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান ১০ দিনের জরিপের তথ্য বিশ্লেষণ করে জানিয়েছে, ট্রাম্পের চেয়ে হ্যারিস মাত্র ১ শতাংশ এগিয়ে আছেন। ট্রাম্পের জনপ্রিয়তার হার যেখানে ৪৭ শতাংশ, সেখানে হ্যারিসের জনপ্রিয়তার হার ৪৮ শতাংশ।
ব্যাটলগ্রাউন্ড রাজ্যগুলোতে ব্যাপক উত্তাপ বিদ্যমান। পেনসিলভানিয়াতে দুই প্রার্থীর জনপ্রিয়তাই এখানে ৪৮ শতাংশ। রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেটদের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের কারণে এই রাজ্যটিকে প্রায়শই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সুইং স্টেট হিসাবে দেখা হয়। আবার এই রাজ্যেই সবচেয়ে বেশি ইলেকটোরাল ভোট রয়ছে। মিশিগান ও উইসকনসিন রাজ্যে হ্যারিসের এক পয়েন্ট লিড রয়েছে। অপরদিকে ট্রাম্প উত্তর ক্যারোলিনায় ১ শতাংশ এবং জর্জিয়া ও অ্যারিজোনায় ২ শতাংশ এগিয়ে। নেভাদায় হ্যারিসের চেয়ে ট্রাম্প এক শতাংশেরও কম পিছিয়ে রয়েছেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি-তে ভ্যান্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতির অধ্যাপক জোশ ক্লিনটন এবং সংবাদমাধ্যমটির নির্বাচন বিষয়ক পরিচালক জন ল্যাপিনস্কি জানিয়েছেন, হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ভোটারদের অনুভূতিকে প্রতিফলিত করে না, বরং নির্বাচকদের ঝুঁকি-বিরুদ্ধ সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রতিফলন ঘটায়। ব্যাটলগ্রাউন্ড রাজ্যগুলোতে পরিচালিত ৩২১টি জরিপের মধ্যে ১২৪টিতে প্রায় ৪০ শতাংশ একক পয়েন্ট বা তার কম মার্জিন দেখিয়েছে। পেনসিলভানিয়ার ফলাফলগুলো ছিল সবচেয়ে ‘সঙ্কটজনক।’ সেখানে ৫৯টির মধ্যে ২০টিতে দুই প্রার্থীর জনপ্রিয়তা সমান পাওয়া গেছে, আর ২৬টিতে দুজনের ব্যবধান ১ শতাংশের কম দেখা গেছে।
জোশ ক্লিনটন এবং জন ল্যাপিনস্কি তাদের লেখায় ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, এটি ‘শুধু আশ্চর্যজনকভাবে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই নয়, এটি একটি অসম্ভব হাড্ডাহাড্ডি প্রতিযোগিতাকে’ নির্দেশ করে।