২০১৭ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ধনী মার্কিনিদের আয়ের ওপর আরোপিত কর কমানোর উদ্যোগ নেন। যার ফলে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণের বোঝা প্রায় ২ ট্রিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি পায়।
এবারের মার্কিন নির্বাচনে ট্রাম্প বিজয়ী হলে আবারও একই কাজ করতে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন অর্থনীতিবিদরা।
স্কাই নিউজের খবরে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শনিবার (২ নভেম্বর) রাতে পেনসিলভেনিয়ায় একটি জনসভায় এ নিয়ে ট্রাম্পকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করেছেন।
আগামী মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের চূড়ান্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। তবে এবারের নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্পের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন না বাইডেন। গত জুলাইয়ে একটি টিভি বিতর্কে ট্রাম্পের কাছে হেরে যাওয়ার পর নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান বাইডেন। তার পরিবর্তে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি থেকে প্রার্থী করা হয় ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে।
হ্যারিসকে ভোট দেওয়ার জন্য বাইডেন প্রচারণা চালাচ্ছেন। শনিবার রাতে পেনসিলভেনিয়ায় ইউনিয়ন কর্মীদের একটি সমাবেশে বাইডেন বলেন, ‘ট্রাম্প এমন ব্যক্তি যার পশ্চাৎদেশে আপনি লাথি মারতে পছন্দ করবেন।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘রিপাবলিকানরা যারা ধনীদের জন্য কর কমাতে চায় তারা এমন ব্যক্তি যাদের পশ্চাৎদেশে আপনি লাথি মারতে পছন্দ করেন।’
বাইডেন বলেন, ‘ট্রাম্প ও তার রিপাবলিকান বন্ধুরা আরও একটি জিনিস করতে চান। তারা ধনীদের জন্য আবারও বিশাল পরিমাণে কর কমাতে চান। এ ধরনের মানুষদের পশ্চাৎদেশে নিশ্চয় আপনি লাথি মারতে পছন্দ করেন।’
বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট তথা ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিসের অন্যতম সমর্থক বাইডেন। তিনি কিছুদিন আগে ট্রাম্পের সমর্থকদের ‘আবর্জনা’ বলেও কটাক্ষ করেছিলেন।
আর দুইদিন পরেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের চূড়ান্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। বিভিন্ন জনমত জরিপ বলছে, এবারের নির্বাচনে ট্রাম্প ও হ্যারিসের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। অবস্থা এমন যে, নির্বাচনে কে বিজয়ী হবেন সে সম্পর্কে পূর্বাভাস দেওয়া মুশকিল হয়ে পড়েছে।