মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কে জিতবে তা দেখার জন্য সারা বিশ্বের রাজনীতিবিদ এবং জনগণ দম আটকে রেখেছেন।
চমক দেখিয়ে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় দফায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট হবেন? নাকি ইতিহাস সৃষ্টি করে ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিস প্রথম মার্কিন নারী প্রেসিডেন্ট হবেন? তা নির্ধারিত হতে পারে কিছু রাজ্যের ফলাফলে। এগুলো ‘সুইং স্টেট’ বা দোদুল্যমান রাজ্য হিসেবে পরিচিত।
এ কারণে যুক্তরাষ্ট্রে ৫০টি স্টেটে একসঙ্গে ভোট হলেও মূলত সবারই নজর থাকে সুইং স্টেটের দিকে। বেশিরভাগ অঙ্গরাজ্যেই কে এগিয়ে, সেটি সমর্থনের ভিত্তিতে ও জরিপের মাধ্যম আগেভাগে ধারণা করা যায়। কিন্তু সুইং স্টেটগুলোতে তা অনুমান করা কঠিন।
এ বছর সাতটি স্টেটকে সুইং বলা হচ্ছে। সেগুলো হলো অ্যারিজোনা, জর্জিয়া, মিশিগান, নেভাদা, নর্থ ক্যারোলাইনা, পেনসিলভানিয়া ও উইসকনসিন।
হোয়াইট হাউসে জয়ী হওয়ার জন্য কে ২৭০টি ইলেক্টোরাল ভোট পাবে তা নির্ধারণ করবে এই সাতটি সুইং স্টেট। এই স্টেটগুলোর মোট ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট সংখ্যা ৯৩।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, নিউ ইয়র্ক টাইমসের সর্বশেষ একটি জনমত জরিপের তথ্যানুসারে, ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস নেভাদা, নর্থ ক্যারোলাইনা এবং উইসকনসিনে সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন। অন্যদিকে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প অ্যারিজোনায় এগিয়ে রয়েছেন। মিশিগান, জর্জিয়া এবং পেনসিলভানিয়ায় দুই প্রার্থী ঘনিষ্ঠ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
২৪ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত সাতটি রাজ্যে ৭ হাজার ৮৭৯ জন সম্ভাব্য ভোটারের অংশগ্রহণে এই জরিপটি করা হয়েছে।
ওয়াশিংটন ডিসির আমেরিকান ইউনিভার্সিটির ইতিহাসের খ্যাতিমান অধ্যাপক আ্যালান লিচম্যান ১৯৮৪ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত প্রায় প্রতিটি নির্বাচনের ফল কী হবে, তা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন। ২০০০ সালের নির্বাচন বাদে সব কটির ভবিষ্যদ্বাণীই একেবারে সঠিক হয়েছে। যদিও ওই বছরের নির্বাচনের ফলাফল সুপ্রিম কোর্টের রায়ে নির্ধারিত হয়েছিল।
আ্যালান লিচম্যান এবার পূর্বাভাস দিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস।