মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ভোটগ্রহণ আজ মঙ্গলবার (৫ নভেম্বরে) অনুষ্ঠিত হবে। এবার যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যের ৪৩টিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প নাকি কমলা হ্যারিস- কে জিতবেন, তা অনেকটা নিশ্চিত।
সমস্যা দোদুল্যমান সাত অঙ্গরাজ্য- পেনসিলভানিয়া, অ্যারিজোনা, নেভাদা, উইসকনসিন, নর্থ ক্যারোলাইনা, মিশিগান ও জর্জিয়াকে নিয়ে। এই সাত রাজ্যের ফল ট্রাম্প-হ্যারিসের ভাগ্য নির্ধারণ করে দেবে।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, এর মধ্যে জর্জিয়া হচ্ছে সেই অঙ্গরাজ্যে, যেখানে ২০২০ সালের নির্বাচনে পরাজয়ের পর রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প জর্জিয়ার শীর্ষ নির্বাচন কর্মকর্তা ব্র্যাড রাফেনসপার্জারকে ফোন করে ভোটের ফলাফল বদতে দিতে চাপ দিয়েছিলেন।
ট্রাম্প ব্র্যাডকে বলেছিলেন, জর্জিয়ায় জেতার মতো ভোট খুঁজে বের করতে। কারণ তিনি বিশ্বাস করেন না, জর্জিয়ায় ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী জো বাইডেনের কাছে তিনি হেরেছেন। তিনি অতিরিক্ত ১১,৭৮০ ভোট খুঁজে দেয়ার আহ্বান জানান- যার ফলে ওই রাজ্যটিতে ট্রাম্পের মোট ভোটের সংখ্যা হবে ২৪,৭৩,৬৩৪টি। যা বাইডেনের প্রাপ্ত ভোটের চাইতে একটি ভোট বেশি। জর্জিয়া রাজ্যে বাইডেন মোট ২৪,৭৩,৬৩৩টি ভোট পেয়েছিলেন। তবে ব্রাড উত্তরে বলেছিলেন, জর্জিয়ার ফলাফল সঠিক ছিল।
এছাড়া জর্জিয়া হলো সেই রাজ্য, যেখানে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ডেমোক্র্যাট ভোটার বেড়েছে। কিন্তু গাজা যুদ্ধ ইস্যুতে ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাটদের সেই অবস্থান কিছুটা নড়বড়ে হয়ে পড়েছে।
এছাড়া আরও একটি কারণে সবার নজর জর্জিয়ার দিকে। সেটি হলো, ২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জর্জিয়া সবার শেষে ফলাফল প্রকাশ করেছিল। ভোটের চূড়ান্ত ফলাফল ১৬ দিন পর জানিয়েছিল জর্জিয়া।
তবে এবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাজ্যটির ফলাফল দ্রুত প্রকাশ করার কথা জানিয়েছে জর্জিয়া। রাজ্যটির কর্মকর্তারা বলেছেন, তারা আইন পরিবর্তন করেছেন এবং দ্রুত ফলাফল প্রকাশের পরিকল্পনা করছেন।
জর্জিয়ার নির্বাচনী কর্মকর্তাদের দাবি, তারা আশা করছেন, এবার ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তারা প্রাথমিক ফলাফল ঘোষণা করতে পারবেন।