আন্তর্জাতিক

দুর্ভিক্ষে পড়তে পারে মিয়ানমারের ২ কোটি মানুষ

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের প্রায় ২ কোটি মানুষ কয়েক মাসের মধ্যে দুর্ভিক্ষের মুখে পড়তে পারে। ভয়ঙ্কর সংঘাত এবং বাণিজ্য অবরোধের কারণে ‘সম্পূর্ণ অর্থনৈতিক পতন’ ও দুর্ভিক্ষের আসন্ন ঝুঁকি রয়েছে এই রাজ্যে। জাতিসংঘের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা সতর্ক করে দিয়ে এ কথা বলেছেন।

বৃহস্পতবিার জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) আসন্ন গবেষণার বরাত দিয়ে দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, পশ্চিমে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী রাখাইন রাজ্যটি বিপর্যয়ের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। কারণ জনগণের আয়ের পতন, ধান চাষে পতন এবং সামরিক বাণিজ্য বিধিনিষেধ মারাত্মক খাদ্য ঘাটতি ও উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির দিকে পরিচালিত করছে। এই দুর্ভিক্ষ সৃষ্টির মাধ্যমে বেসামরিক নাগরিকদের ‘সম্মিলিত শাস্তি’ দিচ্ছে সামরিক বাহিনী।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, অনেক এলাকায় লোকজন লোক ক্ষুধা নিবারণের পশু খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত ধানের তুষ খাওয়া শুরু করেছে।

জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব এবং ইউএনডিপির আঞ্চলিক পরিচালক কান্নি উইগনারাজা গার্ডিয়ানকে জানিয়েছেন, মিয়ানমারের পরিস্থিতি নজিরবিহীন। ‘আমরা এটি (আগে) দেখিনি - এইরকম বড়মাত্রায় অর্থনৈতিক পতন’ বলেন কান্নি।

তিনি বলেন, ‘যদি এই পূর্বাভাস ২০২৫ সালের জন্য করা হয়, যা খুব সম্ভবত মনে হয়, তাহলে আপনি প্রায় দুই কোটি মানুষকে ক্ষুধার্ত অবস্থায় দেখতে যাচ্ছেন। আমাদের জরিপে অংশ নেওয়া অনেক পরিবারই এখন দিনে একবেলা খাবারের ব্যবস্থা করতে পারছে, অনেকে এরচেয়েও কম পাচ্ছে।’