লাতিন আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরের বৃহত্তম কারাগারে দুই দল বন্দীর মধ্যে লড়াইয়ে কমপক্ষে ১৫ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও ১৪ জন আহত হয়েছেন।
দেশটির জাতীয় কারা প্রশাসন সংস্থা এসএনএআইয়ের বরাত দিয়ে বুধবার (১৩ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
এসএনএআই-এর মতে, উপকূলীয় শহর গুয়াকিলের লিটোরাল পেনিটেনশিয়ারি কারাগারের একটি কমপ্লেক্সে মঙ্গলবার ভোরে সহিংসতা শুরু হয়।
মঙ্গলবার বিকেলের দিকে এসএনএআই জানায়, নিরাপত্তা জোট (পুলিশ ও সশস্ত্র বাহিনী নিয়ে গঠিত) কারাগারের নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে এবং একটি বড় আকারের অনুসন্ধান অভিযান চালিয়েছে।
অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় জানিয়েছে, অন্তত নয়জন বন্দীর বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ দায়ের করা হবে।
ইকুয়েডরের কারাগারগুলো দীর্ঘকাল ধরে দেশটিতে সহিংসতার প্রধান ঘটনাস্থল হয়ে উঠেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রতিদ্বন্দ্বী অপরাধী সংগঠনের সদস্য হিসাবে কয়েকশ বন্দীকে হত্যা করা হয়েছে।
ইকুয়েডর কর্তৃপক্ষের মতে, নিরাপত্তা বাহিনী প্রায়ই জনাকীর্ণ কারাগারের ভেতরে গ্যাংদের মোকাবেলা করার জন্য অভিযান পরিচালনা করে থাকে, যেখানে বন্দীরা জেলখানার শাখাগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিতে এবং কারাগারের আড়ালে থেকে অপরাধমূলক নেটওয়ার্ক চালানোর জন্য পরিচিত।
দেশটির বৃহত্তম পেনিটেনশিয়ারি কারাগারে সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকবার দাঙ্গার ঘটনা ঘটেছে। এটি ইকুয়েডরের সবচেয়ে বিপজ্জনক কারাগার হিসেবে পরিচিত।
দুই মাস আগে, পেনিটেনশিয়ারির পরিচালক মারিয়া ড্যানিয়েলা ইকাজা বাড়ি যাওয়ার সময় সশস্ত্র হামলায় নিহত হন।
গত বছর, এই কারাগারে টানা কয়েকদিনের বিদ্রোহের সময় ৩০ জনেরও বেশি বন্দী নিহত হয়, তাদের মধ্যে কয়েকজনের শিরশ্ছেদ করা হয়েছিল।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, দেশটিতে কারাগারে গ্যাং সম্পর্কিত মারামারিতে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ৪০০ জনেরও বেশি বন্দী প্রাণ হারিয়েছেন।