সাউথ ডাকোটার গভর্নর ক্রিস্টি নয়েমকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে বেছে নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অভিবাসীদের ওপর ক্র্যাকডাউন চালাতে দীর্ঘদিনের এই অনুগতকে বেছে নিয়েছেন ট্রাম্প।
ক্রিস্টি দুই অভিবাসন কট্টরপন্থী ডেপুটি চিফ অফ স্টাফ স্টিফেন মিলার এবং প্রশাসনের ‘সীমান্ত শাসক’ টম হোমনের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন। ট্রাম্পের এই নিয়োগ এটাই ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, অবৈধ অভিবাসীদের গণহারে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে ট্রাম্প তার প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে বেশ সচেতন।
উভয়ই প্রাথমিক পছন্দ যা ইঙ্গিত দেয় যে ট্রাম্প তার গণ নির্বাসন পরিচালনার প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে গুরুতর।
মার্কিন কংগ্রেসের চারবারের সদস্য ৫২ বছর বয়সী ক্রিস্টি ২০১৮ সালে সাউথ ডাকোটার গভর্নর নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং ২০২২ সালে পুনঃনির্বাচিত হন। কোভিড-১৯ মহামারীর সময় তিনি মাস্ক পরিধানের বাধ্যকতার ব্যাপারে সরকারি নীতি এবং সামাজিক দূরত্ব বিধি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।
চলতি বছরের শুরুতে স্মৃতিকথার কিছু অংশ প্রকাশের পর দেশজুড়ে ক্রিস্টিকে ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়। তাতে ক্রিস্টি লিখেছিলেন, তিনি একটি পারিবারিক কুকুরকে গুলি করে হত্যা করেছিলেন। কারণ ক্রিকেট নামের ১৪ মাস বয়সী ওয়্যারহেয়ার পয়েন্টারটি ‘অপ্রশিক্ষণযোগ্য’ এবং সে ‘যার সংস্পর্শে এসেছে তার জন্য বিপজ্জনক।’ ব্যাপক সমালোচনার মুখে পরে এক্স-এ এক পোস্টে ক্রিস্টি লিখেন, তার প্রকাশিতব্য বইটিতে ‘আরো বাস্তব, সৎ এবং রাজনৈতিকভাবে ভুল গল্প রয়েছে যা গণমাধ্যমে আলোড়ন তুলবে।’
ক্রিস্টি বইটিতে উত্তর কোরিয়ার স্বৈরশাসক কিম জং উনের সাথে একটি বৈঠক সম্পর্কে লেখা একটি অধ্যায়ও বাদ দিয়েছিলেন। পরে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, এই ধরনের বৈঠক কখনো হয়নি।