আন্তর্জাতিক

প্রথমবারের মতো দূরপাল্লার হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে ভারত

ভারত প্রথমবারের মতো দূরপাল্লার হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের একটি সফল পরীক্ষা চালিয়েছে। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী  রাজনাথ সিং আজ রোববার এক  বিবৃতিতে এ ঘটনাকে দেশটির সামরিক শক্তির একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি বলে অভিহিত করেছেন। 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে লিখেছে, গতকাল শনিবার ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও) ওড়িশার উপকূল থেকে সফলভাবে ক্ষেপণাস্ত্রটির পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করে। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ১৫০০ কিলোমিটার দূরত্বে আঘাত হানতে সক্ষম। এটি যেকোনো ধরনের পেলোড বহন করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।

ভারতের প্রতিরক্ষমন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছেন, এই কৃতিত্বের মাধ্যমে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ও উন্নত সামরিক প্রযুক্তির অধিকারী দেশগুলোর দলে যোগ দিয়েছে।

রোববার (১৭ নভেম্বর) এক্স পোস্টে তিনি বলেন, “এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। এই উল্লেখযোগ্য অর্জন আমাদের দেশকে এই ধরনের জটিল ও উন্নত সামরিক প্রযুক্তির ক্ষমতাসম্পন্ন বাছাই করা দেশগুলোর গোষ্ঠীতে রেখেছে।”

ইন্ডিয়া টুডের খবর বলছে, হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র খুবই দ্রুতগতির একটি ক্ষেপণাস্ত্র, যা শব্দের চেয়ে পাঁচ গুণ গতিতে ছুটে চলতে সক্ষম। তবে হাইপারসনিক অস্ত্রের প্রধান বৈশিষ্ট্য গতি নয় বরং নির্ভুল হামলার অনন্য ক্ষমতা। এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রচলিত বা পারমাণবিক ওয়ারহেড বহন করতে পারে। ফলে এটিকে বিভিন্ন ধরনের মিশনে ব্যবহার করা যায়।

ট্রায়াল পরিচালনাকারী ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও) শনিবার রাতে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দূরপাল্লার নতুন ক্ষেপণাস্ত্রটি একাধিক ডোমেইন জুড়ে মোতায়েন বিভিন্ন রেঞ্জ সিস্টেমের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হয়। এটি টার্মিনাল কৌশল ও উচ্চ মাত্রার নির্ভুলতার সাথে এর সফল প্রভাব নিশ্চিত করেছে।

ড. এপিজে আব্দুল কালাম ক্ষেপণাস্ত্র কমপ্লেক্সের গবেষণাগারে ভারতীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে নতুন ক্ষেপণাস্ত্রটি তৈরি করা হয়েছে। এ ধরনের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র বিশ্বের হাতেগোনা কয়েকটি দেশের কাছে রয়েছে। এবার ভারতও সেই তালিকায় নাম লেখাল।