যখন খুশি তখন গালিগালাজ ও বাজে কথা বলে আলোচনায় আসা ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতের্তে আবারও রাজনীতিতে ফিরছেন। তিনি দাভাও শহরের মেয়র পদে নির্বাচন করতে যাচ্ছেন বলে রোববার সিএনএন জানিয়েছে।
২০১৬ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন দুতের্তে। এর আগে তিনি এক দশকেরও বেশি সময় দাভাও শহরের মেয়র ছিলেন তিনি। প্রেসিডেন্ট থাকাকালে তিনি রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের কারাগারে পাঠিয়েছেন, পোপকে অপমান করেছেন এবং দাবি করেছেন নিজের শহরে পুনরায় নির্বাচিত হতে তিনি ‘ডেথ স্কোয়াড’ গুন্ডাদের ভাড়া করেছেন।
ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোসের সঙ্গে সম্প্রতি রাজনৈতিক বিরোধ শুরু হয়েছে রদ্রিগোর মেয়ে সারার। ২০২২ সালের নির্বাচনে সারা দুতের্তে মার্কোস জুনিয়রের সাথে জোটবদ্ধ ছিলেন। নির্বাচনে তাদের জোট বিজয়ী হয়। তবে ২০২৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দুজন পৃথকভাবে অংশ নেওয়ার কথা ভাবছেন। সারা জানিয়েছেন, ২০২২ সালে মার্কোসের সঙ্গে জোটবদ্ধ হওয়ার পরে তিনি বুঝতে পারেন তাকে ব্যবহার করা হচ্ছে। তিনি বুঝতে পারেন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার রাজনৈতিক সম্পর্ক তিক্ত হয়ে উঠছে।
ফিলিপাইন বিশ্ববিদ্যালয়ের এশিয়ান সেন্টারের সিনিয়র লেকচারার রিচার্ড হেইডারিয়ান বলেছেন, ‘সিনিয়র দুতের্তে তার পরিবারের প্রতিরক্ষা জোরদার করার জন্য রাজনৈতিক ধাক্কাধাক্কিতে প্রবেশ করেছেন। কারণ তারা বিভিন্ন ফ্রন্টে যুদ্ধ করছেন।’
তিনি বলেন, প্রায় এক দশকের মধ্যে দুতের্তেরা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মুহূর্তে রয়েছে।
দাভাওতে দুতের্তেদের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী হল নোগ্রালেস গোষ্ঠী। প্রয়াত প্রসপেরো নোগ্রালেস মিন্দানাও থেকে একমাত্র ব্যক্তি যিনি দেশটির পার্লামেন্টের স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। নোগ্রালেস পরিবারের পিতৃপুরুষরা প্রভাবশালী আইন প্রণেতাদের সাথে শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন এবং স্থানীয় ও জাতীয় রাজনীতিতে এক দশকের দীর্ঘ ক্যারিয়ার জুড়ে রাজনৈতিক অভিজাতদের আবদ্ধ করেছিলেন। এখন, নোগ্রালেসের পরবর্তী প্রজন্মের রাজনীতিবিদরা তাদের ক্ষমতা দেখাতে নিজ শহরে দুতের্তের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন।