বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে ভারতের দুই রাজ্যে। আজ স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে ঝাড়খণ্ডে দ্বিতীয় দফা এবং মহারাষ্ট্রে প্রথম ও চূড়ান্ত দফার ভোটগ্রহণ চলছে।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, মহারাষ্ট্রের ২৮৮ আসনে নির্বাচন হচ্ছে এক দফাতেই। অন্যদিকে ৮১ আসনের ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় আগের দফার ৪৩ আসনের পর আজ ভোট বাকি ৩৮ কেন্দ্রে নির্বাচন হচ্ছে। দুই রাজ্যের মসনদে এনডিএ নাকি বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’- কে বসবে, তা আগামী শনিবার ভোটগণনা শেষে জানা যাবে।
মহারাষ্ট্রে মূল লড়াই বিজেপি-শিবসেনা (একনাথ শিন্ডে)-এনসিপি (অজিত)-এর জোট ‘মহাজুটি’এবং কংগ্রেস-শিবসেনা (ইউবিটি)-এনসিপি (শারদ)-এর ‘মহাবিকাশ আঘাড়ি’র মধ্যে। এ ছাড়াও বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক দলও লড়াইয়ে রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এবারের নির্বাচনে দুই শিবিরের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। অপরদিকে, ঝাড়খণ্ডেও ক্ষমতার দখলের লড়াইয়ে জোর টক্কর চলছে ‘ইন্ডিয়া’ এবং ‘এনডিএ’-র মধ্যে।
২০১৯-এর বিধানসভা ভোটে ঝাড়খণ্ডে প্রায় সাড়ে ৩৫ শতাংশ ভোট পেয়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ পেয়েছিল জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডির ‘মহাগঠবন্ধন’। এবারও তিন দল একসঙ্গে লড়ছে। সঙ্গে পেয়েছে বাম দল সিপিআইএমএল (লিবারেশন)-কে। কিন্তু ২০১৯ সালের তুলনায় এবারের চিত্রটা খানিক আলাদা। জমি কেলেঙ্কারি, দুর্নীতির পাশাপাশি ‘জমি জিহাদে’ মদত দেওয়ার অভিযোগে সরগরম ঝাড়খণ্ডের রাজনীতি। বিজেপি এবং তার শরিক দলের নেতারা বার বার প্রচারের গিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে সরব হয়েছেন। ফলে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের পরিবর্তে বিজেপি ও শরিক দলগুলো ক্ষমতা দখল করবে কিনা সেদিকে নজর সবার।
একই ছবি মহারাষ্ট্রেও। সেখানে মহাবিকাশ আঘাড়ি জোর লড়াই দেবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল তাদের পক্ষে যাওয়ায় বিজেপি মহাজুটি চাপে রয়েছে। তবে শেষপর্যন্ত কারা শেষ হাসি হাসে তা জানা যাবে আগামী শনিবার।