রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে আলোচনা করার জন্য উন্মুক্ত। তবে যুদ্ধবিরতির শর্ত হিসেবে কোনো বড় আঞ্চলিক ছাড় দেওয়ার বিষয়ে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে পুতিন কিয়েভের পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার উচ্চাকাঙ্ক্ষা পরিত্যাগ করার ওপর জোর দিয়েছেন। পাঁচটি সূত্রের বরাত দিয়ে বুধবার রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
ট্রাম্প নির্বাচনের আগেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ দ্রুত অবসানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে রাশিয়া ট্রাম্পের মধ্যস্থতা মানবে কিনা সেই বিষয়ে এতোদিন কিছুই জানায়নি।
তবে বর্তমান এবং সাবেক পাঁচ রুশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ক্রেমলিন বিস্তৃতভাবে সম্মুখ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হতে পারে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পূর্বাঞ্চলীয় চার এলাকা-ডোনেতস্ক, লুহানস্ক, জাপোরিঝজিয়া এবং খেরসন নিয়ে সীমিত পরিসরে আলোচনার জন্য জায়গা থাকতে পারে।
যদিও মস্কো চারটি অঞ্চলকে সম্পূর্ণভাবে রাশিয়ার অংশ বলে দাবি করে। তবে এই ভূখণ্ডের ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ রাশিয়ার দখলে এবং অবশিষ্ট প্রায় ২৬ হাজার বর্গকিলোমিটার ইউক্রেনের সেনাদের দখলে রয়েছে।
দুটি সূত্র জানিয়েছে, রাশিয়া ইউক্রেনের উত্তর ও দক্ষিণে খারকিভ এবং মাইকোলাইভ অঞ্চলে থাকা অপেক্ষাকৃত ছোট অংশ থেকে সেনা প্রত্যাহার করার বিষয়েও রাজী হতে পারে।
তবে রাশিয়া ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদান বা ইউক্রেনের মাটিতে ন্যাটো সেনাদের উপস্থিতি সহ্য করবে না। এর পাশপাশি কিয়েভকে তার সশস্ত্র বাহিনীর আকার সীমিত করা এবং রাশিয়ান ভাষার ব্যবহার সীমাবদ্ধ না করার প্রতিশ্রুতি আদায়ে চাপ দিতে পারে রাশিয়া।