সিরিয়ার পালমিরা শহরে বুধবার (২০ নভেম্বর) ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এই হামলায় ৪৯ জন নিহত হয়েছেন। আরও ৫০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে চায়না ডেইলি।
পর্যবেক্ষণ সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের মতে, ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো শহরের তিনটি স্থানে হামলা চালিয়েছে। ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়া যোদ্ধাদের পরিবার অধ্যুষিত অঞ্চলে ও এর আশপাশে একটি অস্ত্রের ডিপো এবং অন্যান্য স্থানকে লক্ষ্য করে এসব হামলা হয়।
যুক্তরাজ্যেভিত্তিক পর্যবেক্ষণ সংস্থাটি জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ইরানি মিলিশিয়াদের সঙ্গে যুক্ত ২৪ জন সিরিয়ান নাগরিক রয়েছেন। এর মধ্যে সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর কর্মকর্তারাও রয়েছেন, যাদের মধ্যে লেবাননের হিজবুল্লাহর অনুগত একজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ছিলেন।
এছাড়া ২২ জন বিদেশি যোদ্ধা নিহত হয়েছেন, তাদের বেশিরভাই ইরাকি ‘হারাকাত আল-নুজাবা’ গোষ্ঠীর সদস্য। হামলায় তিনজন অজ্ঞাত ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
সিরিয়ান বার্তা সংস্থা সানা জানিয়েছে, আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা গুরুতর। ফলে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আহতের মধ্যে অন্তত সাতজন বেসামরিক নাগরিক রয়েছেন, তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর।
সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় আল-তানফের দিক থেকে বিমান হামলা চালানো হয়। এতে উল্লেখযোগ্য বস্তুগত ক্ষতি হয়েছে। আল-তানফ হলো যুক্তরাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত ইরাকি সীমান্তের কাছাকাছি একটি এলাকা।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে, ইরান-সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সঙ্গে শত্রুতা তীব্র হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সিরিয়ায়ও হামলার মাত্রা বাড়িয়েছে ইসারায়েল।
গত সপ্তাহে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছিল যে, তারা সিরিয়া-লেবানিজ সীমান্তে ট্রানজিট রুটে হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলের দাবি, এটি হিজবুল্লাহকে অস্ত্র স্থানান্তর করতে ব্যবহৃত হয়েছিল। এছাড়া সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম লেবাননের সীমান্তবর্তী হোমস প্রদেশে গত সপ্তাহে বেশ কয়েকটি ইসরায়েলি হামলার খবর দিয়েছে।
চলতি বছরে ইসরায়েল সিরিয়ার ভূখণ্ডে ১২০টি আক্রমণ পরিচালনা করেছে। যার মধ্যে ১২৬টি বিমান হামলা এবং ২৬টি স্থল হামলা রয়েছে। এসব হামলায় ৩৫২ জন সামরিক কর্মী নিহত এবং ৩০৫ জন আহত হয়েছে।