খালিস্তানপন্থী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরকে খুনের ঘটনায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সম্পৃক্ত করে কানাডার সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট খারিজ করেছে সে দেশের সরকার। শুক্রবার এক বিবৃতিতে, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর জাতীয় নিরাপত্তা এবং গোয়েন্দা উপদেষ্টা নাথালি জি ড্রুইন বলেছেন, অজ্ঞাতনামা কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে কানাডার সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত দাবির কোনো প্রমাণ সম্পর্কে জানে না কানাডা সরকার।
বৃহস্পতিবার কানাডার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম কানাডা পুলিশের ‘ইন্টিগ্রেটেড হোমিসাইড ইনভেস্টিগেশন টিম’ (আইএইচআইটি)-এর সূত্র উদ্ধৃত করে জানিয়েছিল, খালিস্তানি নেতাদের হত্যা করার ষড়যন্ত্রের কথা জানতেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নিজ্জরকে হত্যার ছক কষেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালকে সেই ছকের কথা জানানো হয়েছিল।
এর পরেই নয়াদিল্লি এই সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানায়।
শুক্রবার ট্রুডো সরকার বলেছে, ‘জননিরাপত্তার জন্য উল্লেখযোগ্য এবং চলমান হুমকির কারণে আরসিএমপি এবং কর্মকর্তারা ১৪ অক্টোবর কানাডায় ভারত সরকারের এজেন্টদের সংঘটিত গুরুতর অপরাধমূলক কার্যকলাপের জনসমক্ষে অভিযোগ আনার অসাধারণ পদক্ষেপ নিয়েছিল। কানাডা সরকার প্রধানমন্ত্রী মোদি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর বা এনএসএ ডোভালকে কানাডার অভ্যন্তরে গুরুতর অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত করে প্রমাণের বিষয়ে কিছু বলেনি বা এ বিষয়ে অবগত নয়।’
গত ১৩ অক্টোবর কানাডা সরকার জানিয়েছিল, নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে যাদের স্বার্থ জড়িত, সেই তালিকায় কানাডায় নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার সঞ্জয়কুমার বর্মা রয়েছেন। এর পরেই সঞ্জয়সহ কয়েক জন কূটনীতিককে বহিষ্কার করে কানাডা। এর প্রতিক্রিয়ায় ভারত সরকারও বহিষ্কার করে কানাডার কয়েক জন কূটনীতিককে।