পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) রাজধানী ঘেরাও ও বিক্ষোভ কর্মসূচি ঠেকাতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে সরকার। রাজধানীতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনসহ ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রবিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নকভি এ তথ্য জানিয়েছেন।
১৩ নভেম্বর ইমরান খান ‘চূড়ান্ত আহ্বান’ নামে দেশব্যাপী বিক্ষোভের ডাক দিয়েছিলেন। ২৪ নভেম্বর তার এই কর্মসূচির তারিখ নির্ধারণ করা হয়। ভোট চুরি, লোকেদের অন্যায় গ্রেপ্তার এবং সংবিধানের ২৬তম সংশোধনী পাসের প্রতিবাদে এই কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছিল।
সরকার এই কর্মসূচির বিরুদ্ধে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে (আইএইচসি) পিটিশন দাখিল করলে আদালত জানিয়েছে, পিটিআই-এর পরিকল্পিত বিক্ষোভ বেআইনি। একইসঙ্গে আদালত ফেডারেল সরকারকে ইসলামাবাদে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য এবং জনজীবন যাতে ব্যাহত না হয় সেজন্য পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
তবে সরকারের নির্দেশ উপেক্ষা করে রবিবার সকালে খাইবার পাখতুনখোয়া থেকে মিছিলগুলো ইসলামাবাদের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। ইসলামাবাদ অভিমুখে মিছিল থামাতে হাসানাবদলের জিটি ও মোটরওয়েতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ উপস্থিত রয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নকভি বলেছেন, ‘একটি বিকল্প হল আমরা তাদের আসতে দেই এবং ইসলামাবাদকে পঙ্গু করে দেই। অন্য বিকল্প হল ইসলামাবাদকে রক্ষা করা।’
পিটিআই সমর্থকদের গ্রেপ্তারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তারা (পিটিআই) যে এলাকায় বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে সেটি ইসলামাবাদের একটি সংরক্ষিত এলাকা, আইজি এবং ডিআইজি এটি পর্যবেক্ষণ করেছেন। যেকোনো বিক্ষোভকারী ওই এলাকায় প্রবেশ করলে গ্রেপ্তার করা হবে।’