পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদ চার দিক থেকে ঘিরে ফেলেছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সমর্থকরা। রাজধানীতের প্রবেশের সব পথ অবরুদ্ধ করে দিলেও তা ডিঙিযে এগিয়ে যাচ্ছে ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফ অর্থাৎ পিটিআই এর নেতাকর্মীরা।
সব প্রদেশ থেকে লাখ লাখ মানুষ আর হাজার হাজার গাড়ি এখন ইসলামাবাদের প্রবেশদ্বারের মুখে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিচ্ছেন। ইমরান খানের মুক্তি দাবির সঙ্গে তাদের মুখে উচ্চারিত হচ্ছে সরকারের পদত্যাগের কথাও।
২৪ নভেম্বর ‘মার্চ টু ইসলামাবাদ’ ঘোষণা করে ইসলামাবাদের অভিমুখে যাত্রা শুরু করে ইমরান খানের সমর্থকরা। পথে পথে বাধা দেওয়া সেই যাত্রা ধীর হলেও সারা রাত পিটিআই সমর্থকরা রাস্তাতেই কাটিয়ে আবার সকাল থেকে যাত্রা শুরু করেছেন।
২৫ নভেম্বর ইমরান খানের সমর্থকরা হাজার হাজার গাড়ি নিয়ে পৌঁছে গেছেন ইসলামাবাদের প্রবেশ দ্বারে। তারা সব ব্যারিডেক ভেঙে ভেতরে প্রবেশের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও তাদের রুখে দিতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। ফলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘাতের শঙ্কা তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে উঠেছে।
পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশ থেকে লাখ লাখ নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নেতৃত্ব দিয়ে ইসলামাবাদের পার্লামেন্টের ভবন এলাকার ‘রেড জোন’ এর খুব কাছাকাছি চলে এসেছেন প্রদেশটির মুখ্যমন্ত্রী আলী আমিন গান্দাপুর।
গান্দাপুরের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন ইরমান খানের স্ত্রী বুশরা বিবি। তিনি পথে পথে বক্তব্য দিচ্ছেন, আর বলছেন, ইমরান খানের মুক্তি নয়, আমরা পাকিস্তানের মুক্তির জন্য পথে নেমেছি। আমরা দেশকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশাআল্লাহ।
পাঞ্জাবের বিভিন্ন শহর থেকে মার্চ করে ইসলামাবাদে প্রবেশের চেষ্টা করছে লাখ লাখ বিক্ষোভকারী। তারা সরকার পতন চায়, পথে পথে স্লোগান ও মিছিলে মুখরিত করে সামনে এগিয়ে আসছে তারা।
নওয়াজ শরিফের ছোট ভাই ও প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইমরান খানের সমর্থকদের বলে দিয়েছেন, বিক্ষোভকারীদের ইসলামাবাদের প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
শুধু ইসলামবাদা নয়, পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সদর দপ্তরের অবস্থান যে রাওয়ালপিডিন্ডতে, সেখানেও নিরাপত্তা জোরদার করে প্রবেশের সব পথে ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে।
ইমরান খানের সমর্থকরা জীবনের বিনিময়ে হলেও ইসলামাবাদে প্রবেশের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে, তারা এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। ইসলামাবাদের প্রবেশের সব পথে এখন ইমরান খানের সমর্থকরা অবস্থান করছেন। দেখার বিষয়, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজা শরিফ ও তার দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ এই পরিস্থিতি কীভাবে মোকাবিলা করেন।