আন্তর্জাতিক

হুতিকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করল কানাডা

ইয়েমেনভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী আনসারুল্লাহকে (হুতি নামে পরিচিত) ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে কানাডা। সোমবার এ ঘোষণা দিয়েছেন জাস্টিন ট্রুডোর নেতৃত্বাধীন দেশটির সরকার।

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কানাডার সিদ্ধান্তটি দেশটির পররাষ্ট্র নীতির অংশ, যার লক্ষ্য আঞ্চলিক নিরাপত্তাকে অস্থিতিশীল করে এমন গোষ্ঠীর প্রভাবকে রোধ করা। ইয়েমেনের বৃহৎ অংশ নিয়ন্ত্রণকারী হুতিদের বিরুদ্ধে অঞ্চলের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রয়োগের জন্য সহিংসতা এবং অন্যান্য উপায় ব্যবহার করার অভিযোগ আনা হয়েছে, যা এই অঞ্চলে সংঘাতে বৃদ্ধির পেছনে দায়ী করা হচ্ছে।

কানাডার জননিরাপত্তা এবং জরুরি প্রস্তুতি বিভাগ এক বিবৃতিতে বলেছে, “আনসারুল্লাহ, একটি ইয়েমেনি জঙ্গি গোষ্ঠী, কানাডার ফৌজদারি কোডের অধীনে ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠী’ এর সংজ্ঞা পূরণ করেছে। সন্ত্রাসীদের তালিকায় আনসারুল্লাহর নাম সংযোজন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমাদের প্রচেষ্টার অংশ।”

“হিংসাত্মক চরমপন্থা এবং সন্ত্রাসবাদের কর্মকাণ্ডের বিশ্বে কোনো স্থান নেই এবং আমরা আন্তর্জাতিকভাবে এই কার্যকলাপের বিস্তার রোধ করতে এবং কানাডা, তার নাগরিক এবং বিশ্বজুড়ে তার স্বার্থের প্রতি হুমকি মোকাবেলা করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করতে থাকব।”

ইরান-সমর্থিত ‘হুতি’ গোষ্ঠীর আনুষ্ঠানিক নাম ‘আনসারুল্লাহ’, ২০০০ সালের গোড়ার দিকে ইয়েমেনে এটি গড়ে উঠে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে লোহিত সাগরে ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের বাণিজ্যিক ও নৌ জাহাজ আক্রমণ করে আসছে হুতি। এসব হামলার কারণে লোহিত সাগরে জাহাজ চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।

এর আগে কানাডা লোহিত সাগরে হামলার প্রতিক্রিয়ায় এই বছরের শুরুতে হুতির বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের হামলাকে সমর্থন করে।

কানাডায় সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে তালিকাভুক্ত অন্য দুটি সংস্থা ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ড কর্পস এবং লেবাননের হিজবুল্লাহর ঘনিষ্ট মিত্র হুতি।