আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা চাইলেন ব্রিটিশ এমপি প্রীতি প্যাটেল

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে জোরালো পদক্ষেপ নেওয়া আহ্বান জানিয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি প্রীতি প্যাটেল। 

ভারতীয় বার্তা সংস্থা আইএএনএসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাজ্যের রক্ষণশীল এমপি প্রীতি প্যাটেল এই আহ্বান জানিয়েছে। 

তিনি হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে কথিত চলমান সহিংসতার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, শান্তিতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সুরক্ষায় জোরালো পদক্ষেপ নিশ্চিত করতে হবে।

প্যাটেল বলেন, “বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে চলমান সহিংসতা ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি গভীরভাবে উদ্বেগজনক।” 

তিনি আরো বলেন, “ধর্মীয় উপাসনালয়গুলোকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করা ভয়ানক ব্যাপার। এতে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায় আতঙ্কিত হওয়ার পাশাপাশি নিরাপত্তাহীনতা বোধ করবে। বাংলাদেশ সরকারকে অবশ্যই জীবনরক্ষা, সহিংসতা প্রতিরোধ ও ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষার জন্য দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়া নিশ্চিত করতে হবে। আমি যুক্তরাজ্য সরকারকে এ কাজটিকে সমর্থন করার জন্য সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছি।”

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ডাব্লিউআইওএন’র খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির দিকে যুক্তরাজ্য সরকার নজর রাখছে বলে জানিয়েছে। 

যুক্তরাজ্যের ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাথরিন ওয়েস্ট গত সোমবার (২ সোমবার) যুক্তরাজ্যের সংসদ হাউজ অব কমন্সে বলেছেন, ব্রিটিশ সরকার হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর সাম্প্রতিক হামলা ও ধর্মীয় নেতাদের গ্রেপ্তারের পর বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। 

সংসদে তিনি আরো জানান, তিনি তার সাম্প্রতিক ঢাকা সফরের সময় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে হিন্দুসহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলোর সুরক্ষা নিশ্চিতের আশ্বাস পেয়েছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্য প্রথম দেশগুলোর একটি।

তিনি জানান, রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে বাংলাদেশে একজন সুপরিচিত হিন্দু নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তারের পর, ভারত সরকারের উদ্বেগের বিষয়ে আমরা অবগত।

তিনি যোগ করেন, যুক্তরাজ্য সরকার বাংলাদেশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা অব্যাহত রাখবে। পাশাপাশি ধর্ম বা বিশ্বাসের স্বাধীনতার গুরুত্বের বিষয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে জড়িত থাকবে।