ফ্রান্সে রাজনৈতিক অস্থিরতা এড়াতে নতুন প্রধানমন্ত্রী খুঁজছেন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। বৃহস্পতিবার পার্লামেন্টে ঐতিহাসিক অনাস্থা ভোটে মিশেল বার্নিয়ারের সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
বুধবার পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে পরাজিত হন মিশেল। বেশিরভাগ আইনপ্রণেতা কঠোর বামপন্থিদের প্রস্তাবিত অনাস্থা ভোটকে সমর্থন করেছেন এবং মেরিন লে পেনের নেতৃত্বে অতি ডানপন্থিদের সমর্থন করেছেন।
মূলত ২০২৫ সালের বাজেট পরিকল্পনাই মিশেলের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট আনার প্রধান কারণ। তিনি বাজেটে কঠোর কৃচ্ছতা সাধনের জন্য ব্যাপক কাঁটছাঁট করেছিলেন। ফ্রান্সের পার্লামেন্টের সংখ্যাগরিষ্ঠের কাছে বিষয়টি অগ্রহণযোগ্য ছিল।
বৃহস্পতিবার মিশেল তার পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার জন্য এলিসি প্রাসাদে ম্যাক্রোঁর সঙ্গে দেখা করেছেন।
১৯৬২ সালে চার্লস ডি গল প্রেসিডেন্ট থাকাকালে জর্জেস পম্পিডোর সরকারের পরাজয়ের পর এবারই প্রথম কোনো সরকারকে হটাতে সফল অনাস্থা ভোট হলো।
একাধিক সূত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে, সরকারে শূন্যতা এড়াতে নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের জন্য তাড়াহুড়া করছেন প্রেসিডেন্ট।
ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির স্পিকার ইয়ায়েল ব্রাউন-পিভেট ম্যাক্রোঁকে দ্রুত একজন নতুন প্রধানমন্ত্রী বেছে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ফ্রান্সকে বেশি সময় ‘বিচ্যুত’ রাখা যাবে না।