আন্তর্জাতিক

সরকারি প্রতিষ্ঠান প্রধানমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে থাকবে: সিরিয়ার বিদ্রোহীরা

ব্যক্তিগত বিমানে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। তার দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আল-জালালি বলেছেন, জনগণের দ্বারা নির্বাচিত যেকোনো নেতৃত্বকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।

রবিবার (৮ ডিসম্বের) সিএনএন এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

টেলিগ্রামে বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) বিবৃতিতে বলা হয়, “আমরা দামেস্ককে (সিরিয়ার রাজধানী) অত্যাচারী বাশার আল-আসাদের হাত থেকে মুক্ত ঘোষণা করছি। সিরিয়া এখন মুক্ত। একটি অন্ধকার যুগের সমাপ্তি হলো। একটি নতুন যুগের সূচনা হলো।”

টেলিগ্রামে পৃথক আরেকটি পোস্টে এইচটিএস বলেছে, প্রধানমন্ত্রী আপাতত সরকারি প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখবেন।

এইচটিএস এক ঘোষণায় বলেছে, শহরের সামরিক বাহিনীর জন্য দামেস্কের সরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে যাওয়া নিষিদ্ধ। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর না হওয়া পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে থাকবে।

রেকর্ড করা এক ভিডিও বার্তায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘এই দেশ একটি স্বাভাবিক দেশ হতে পারে। সরকারি কার্যক্রম সুষ্ঠু ও নিয়মতান্ত্রিক স্থানান্তর নিশ্চিত করতে, রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা সংরক্ষণের জন্য জনগণ যেকোনো নেতৃত্বকে বেছে নেবে তাকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।’’

সরকারি সম্পদ ধ্বংস থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘সরকারি সম্পদ ক্ষতি না করতে আমি সব নাগরিকের প্রতি অনুরোধ করছি। কারণ শেষ পর্যন্ত এটা আমাদেরই সম্পদ।’’ 

এইচটিএস এক বিবৃতিতে দেশের সম্পদ রক্ষার আহ্বান জানিয়েছে।