আন্তর্জাতিক

জন্মসূত্রে মার্কিন নাগরিকত্ব বন্ধের ঘোষণা ট্রাম্পের

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, আগামী ২০ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর তিনি যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া যেকোনো ব্যক্তির স্বয়ংক্রিয়ভাবে নাগরিকত্ব পাওয়ার প্রক্রিয়া বন্ধ করবেন।

গতকাল রোববার (৮ ডিসেম্বর) মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল এনবিসির ‘মিট দ্য প্রেস’ টক শো অনুষ্ঠানে ট্রাম্প এমন মন্তব্য করেন।  তবে যুক্তরাষ্ট্রে শিশু অবস্থায় আসা কিছু কাগজপত্রবিহীন অভিবাসীকে সহায়তায় ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ের পর এটিই ছিল কোনো টিভি চ্যানেলকে দেওয়া ট্রাম্পের প্রথম সাক্ষাৎকার।

ওই সাক্ষাৎকারে অভিবাসন প্রসঙ্গে ট্রাম্প জানান, তিনি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে তথাকথিত জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের বিধান বাতিল করার পরিকল্পনা করছেন। এই নীতির আওতায়, যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া যেকেউ, তার বাবা-মা অন্য দেশে জন্মগ্রহণ করলেও; মার্কিন পাসপোর্ট পেয়ে থাকে।

জন্মগত নাগরিকত্বের বিধানটি মার্কিন সংবিধানের ১৪তম সংশোধনীতে সংযোজন করা হয়। এ সংশোধনীতে বলা হয়েছে, ‘যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণকারী সব ব্যক্তিই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক’।

ট্রাম্প বলেন, “এই নিয়ম বদলাতে হবে।” এছাড়া, নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, নথিবিহীন অভিবাসীদের পরিবারের সদস্যরা মার্কিন নাগরিকও হলেও তাদেরকে দেশ থেকে বের করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবেন বলে জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, “আমি পরিবারগুলোকে আলাদা করতে চাই না। কাজেই পরিবার না ভাঙার একমাত্র উপায় হলো তাদের সবাইকে একসঙ্গে ফেরত পাঠানো।”

২০২০ সালের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরাজয়ের পর ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ট্রাম্প সমর্থকেরা কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটল হিলে হামলা চালায়। ট্রাম্পকে প্রশ্ন করা হয়, এ ঘটনায় যারা দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন, তাদের তিনি ক্ষমা করবেন কি না।

জবাবে ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, আগামী মাসে দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম দিনেই ২০২১ সালের ক্যাপিটল হিল দাঙ্গায় জড়িতদের ক্ষমার বিষয়টি দেখবেন। এই মানুষগুলো নরকযন্ত্রণা ভোগ করছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সাক্ষাৎকারে ইউক্রেনকে প্রসঙ্গে ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, তিনি হোয়াইট হাউজে ফেরার পর ইউক্রেনকে সহায়তা প্রদান সম্ভবত কমানো হবে।