দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দেশটির বিচার মন্ত্রণালয়। প্রেসিডেন্টের সামরিক আইন জারির ব্যর্থ প্রচেষ্টার কারণে চলমান রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলো। খবর আনাদোলু এজেন্সির।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন কেবিএস জানিয়েছে, বিচার মন্ত্রণালয় প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের দুর্নীতি তদন্তকারী অফিস প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার অনুরোধ করেছিল।
গত সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়ার বেশিরভাগ সংসদ সদস্য প্রেসিডেন্ট ইউনের সামরিক আইন জারি প্রত্যাখ্যান করার পরে ইউনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ, বিদ্রোহ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে পুলিশের তদন্ত চলছে।
তবে আকস্মিকভাবে সামরিক আইন জারির ঘটনায় অভিশংসনের হাত থেকে বেঁচে গেছেন ইউন। গত শনিবার পার্লামেন্টে বিরোধী দল প্রেসিডেন্ট ইউনকে অভিশংসনের প্রস্তাব তোলে। তবে ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট ইওলের দল পিপল পাওয়ার পার্টি (পিপিপি) পার্লামেন্ট অধিবেশন বয়কট করলে তা ব্যর্থ হয়ে যায়।
সামরিক আইন জারি করাকে কেন্দ্র করে ইউনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
এ বিষয়ে পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, “কর্তৃপক্ষ প্রেসিডেন্টকে জিজ্ঞাসাবাদ এবং এমনকি তার গ্রেপ্তারের সম্ভাবনাসহ সব বিকল্প পর্যালোচনা করছে।”
তদন্তের জন্য পুলিশ অন্তত ১১ জনকে শনাক্ত করেছে। সামরিক আইন জারির ঘটনার দায়ে পদত্যাগ করা প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিম ইয়ং হিউন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লি সাং মিন, কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স কমান্ডের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইয়েও ইন হ্যুং এবং আর্মি চিফ অব স্টাফ জেনারেল পার্ক আন সু’র বিরুদ্ধেও দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ইউনের নিজ দল পিপল পাওয়ার পার্টির (পিপিপি) নেতা বলেছেন, বেশিরভাগ জনসাধারণ বিশ্বাস করে যে ইউনের পদত্যাগ করা উচিত।
পিপিপি নেতা হান ডং হুন এবং এমনকি প্রেসিডেন্টের নিয়োগ করা প্রধানমন্ত্রী হান ডাক সু বলেছেন, পদত্যাগের আগে বিবাদমান প্রেসিডেন্ট দেশের অভ্যন্তরীণ ও বিদেশি বিষয়ে জড়িত থাকবেন না।
এদিকে, দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণের উপর জোর দিয়ে বলেছে, বর্তমানে প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওনের হাতে সামরিক বাহিনীকে কমান্ডের ক্ষমতা রয়েছে। তিনি এখনও কমান্ডার ইন চিফ।