স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বার্ড ফ্লুর সম্ভাব্য মহামারির হুমকি সম্পর্কে সতর্কবার্তা দিয়েছেন। সম্প্রতি ভাইরাসটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গাভীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে মানুষের মধ্যে সংক্রামিত হওয়ার পর রূপ বদল করছে বলে লক্ষণ দেখা গেছে।
প্রাণঘাতী বার্ড ফ্লুর এইচফাইভএনওয়ান ভ্যারিয়েন্টটি প্রথম ১৯৯৬ সালে চীনে শনাক্ত হয়েছিল। কিন্তু গত চার বছরে এটি আগের চেয়ে আরও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে, এমনকি অ্যান্টার্কটিকার মতো প্রায় জনশূন্য অঞ্চলে পৌঁছে গেছে ।
বিশ্ব প্রাণী স্বাস্থ্য সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে, বার্ড ফ্লুতে ২০২১ সালের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ৩০ কোটির বেশি মুরগি মারা গেছে বা মারা হয়েছে। একইসময় ৩১৫টি বিভিন্ন প্রজাতির বন্য পাখি ৭৯টি দেশে মারা গেছে। সিলের মতো যেসব স্তন্যপায়ী প্রাণি সংক্রামিত পাখি খেয়েছে, সেগুলোর মধ্যে ব্যাপক মৃত্যুর হার পরিলক্ষিত হয়েছে। মার্চ মাসে পরিস্থিতি আবার পরিবর্তিত হয়। ওই সময় ভাইরাসটি অন্য প্রথম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে দুগ্ধজাত গরুর মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে।
সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন জানিয়েছে, চলতি বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৫৮ জন লোক বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে এমন দু’জন রয়েছেন যারা সংক্রামিত প্রাণির সংস্পর্শে আসেননি। কিছু মানুষের ক্ষেত্রে শনাক্ত না হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।
গবেষকরা গত মাসে জানিয়েছেন, মিশিগান এবং কলোরাডোতে পরীক্ষা করা ১১৫ জনের মধ্যে আটজনের দেহে বার্ড ফ্লুর অ্যান্টিবডি রয়েছে। এতে সংক্রমণের হার ৭ শতাংশের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এসএএস ইনস্টিটিউটের মহামারি বিশেষজ্ঞ মেগ শেফার এএফপিকে বলেছেন, “এভিয়ান ফ্লু আমাদের দরজায় কড়া নাড়ছে এবং যে কোনোদিন একটি নতুন মহামারি শুরু হতে পারে।”
গত মাসের শেষের দিকে নিউ ইয়র্ক টাইমসে বলা হয়েছিল, “বার্ড ফ্লু মহামারি হবে ইতিহাসের সবচেয়ে প্রত্যাশিত বিপর্যয়গুলোর মধ্যে একটি।”