পাকিস্তানে জিনিসপত্রের দাম এখন আকাশ ছোঁয়া। গ্যাস হোক, বিদ্যুৎ হোক আটা-চিনি-তেল যাই হোক, মাসের পর মাস শুধু দামই বেড়ে চলেছে। সেই ধাক্কায় পাকিস্তানে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির হার চোখে সরষে ফুল দেখার মতো আর কী!
পাকিস্তানের পরিসংখ্যান ব্যুরো বুধবার (১১ ডিসেম্বর) এমন খবর দিয়েছে, যা দেশটিতে জ্বালানি মূল্য বৃদ্ধির সব রেকর্ড ভেঙে অশনিশিখার মতো জ্বলছে।
এই তথ্য আবার প্রকাশ করা হয়েছে পাকিস্তানের পার্লামেন্টে অধিবেশন চলার সময়ই। বুধবার পার্লামেন্টের ডেপুটি স্পিকার গোলাম মুস্তফা শাহের সভাপতিত্বে চলছিল অধিবেশন। সেসময়ই জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধির চিত্র তুলে ধরে পরিসংখ্যান ব্যুরো।
গ্যাসের দাম সবচেয়ে বেশি বাড়লেও চিনি, ভোজ্য তেল, আটা-গমের দামও যে পরিমাণ বেড়েছে, তাতে মূল্যস্ফীতি রীতিমতো আকাশছোঁয়া। পাকিস্তানের পরিসংখ্যান ব্যুরো বলছে, পাঁচ বছরে চিনির দাম ৫৩ দশমিক ৫ শতাংশ, পাম তেলের ৬১ শতাংশ এবং সয়াবিন তেল, গম ও অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়েছে ৩৫ শতাংশ।
পাকিস্তানের কর্মকর্তারা গ্যাসের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি জন্য সামগ্রিকভাবে মূল্যস্ফীতিকে দায়ী করছেন। এ ছাড়া গ্যাসে ধাপে ধাপে শুল্ক বাসানোও দাম বৃদ্ধির একটি কারণ, বলছেন তারা।
এক্সপ্রেসি ট্রিবিউন লিখেছে, পাকিস্তানে সেপ্টেম্বর মাসে ১১ দশমিক ৬৭ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ছিল ৩ হাজার ৮৭ রুপি, যা অক্টোবরে হয়েছে ৩ হাজার ১৫০ রুপি। কিছুটা ওঠা-নামা করে বর্তমানে দেশটিতে একই পরিমাণ গ্যাস সিলিন্ডারের দাম এখন ৩ হাজার ৭৯ পাকিস্তানি রুপি।
ভারতে ১৪ দশমিক ২ কেজির এপিজি সিলিন্ডারের দাম এখন ৮০২ টাকার মতো।