আন্তর্জাতিক

সিরিয়ায় অনিশ্চিত ভবিষ্যত আইএস বধূ শামিমার

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএস বধূ শামিমা বেগম এবং উত্তর-পূর্ব সিরিয়ার কারাগার ও শিবিরে আটক ৬৫ জনের ভবিষ্যত অনিশ্চয়তার মুখোমুখি। কারণ তাদের রক্ষাকারী কুর্দি গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে তুরস্ক সমর্থিত বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো।

তুরস্ক এক দশক ধরে আইএস-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মার্কিন ও যুক্তরাজ্যের সাথে জোটবদ্ধ কুর্দি বাহিনীকে আক্রমণ করছে। আসাদ সরকারের পতন ঘটলেও এই আক্রমণ অব্যাহত আছে।

দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, আইএসের প্রায় ৫০ হাজার সাবেক যোদ্ধা, নারী ও শিশু কুর্দিদের নিয়ন্ত্রিত কারাগার এবং শিবিরে আটক রয়েছে। তবে তাদের মধ্যে শামিমা বেগমসহ ২০ নারী, ১০ পুরুষ এবং ৩৫ শিশু রয়েছে যারা ব্রিটিশ নাগরিক বা ব্রিটিশ নাগরিকত্ব ধারণ করেছে।

২০১৫ সালে পূর্ব লন্ডনের বেথনাল গ্রিন একাডেমির ছাত্রী শামিমা বেগম দুই বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে সিরিয়ায় পালিয়ে যান। সিরিয়ায় এক আইএস যোদ্ধার সঙ্গে শামিমার বিয়ে হয়। যুদ্ধে নিহত হয় তার স্বামী। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় আল-হওর শরণার্থী শিবিরে শামিমার দেখা পান এক ব্রিটিশ সাংবাদিক। দেশে ফিরতে চাইলেও তৎকালীন ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভেদ রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে শামিমার ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিল করেন। পরে এর বিরুদ্ধে আপিল করলে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে হেরে যান শামিমা। এর বিরুদ্ধে ওই বছরের অক্টোবরে দ্বিতীয় আপিল করেন তিনি। তাতেও শামিমা হেরে যান।

মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তার মুখপাত্র জন কিরবি উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, তুর্কি সমর্থিত সিরিয়ান ন্যাশনাল আর্মির (এসএনএ) অব্যাহত আক্রমণ কুর্দি গোষ্ঠী এবং তাদের সামরিক বাহিনী সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস) নেতৃত্বাধীন ইসলামবিরোধী মিশনকে প্রভাবিত করতে পারে। 

কিরবি বলেছেন, তুর্কি সমর্থিত অভিযানগুলোতে সমস্যা রয়েছে “কারণ এতে এসডিএফ-কে আইএসআইএস বিরোধী মিশন থেকে দূরে সরিয়ে নেওয়ার ঝুঁকি রয়েছে, যা আমরা ঘটতে দিতে চাই না। এ নিয়ে আলোচনা আমরা তুর্কিদের সাথেও করছি।”