সিরিয়ার নৌঘাঁটি থেকে সরে যাচ্ছে রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজগুলো। বিবিসি স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণ করে বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছে।
রোববার বিদ্রোহীদের হামলার মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ। দেশটি দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধে আসাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহযোগিতা করেছে রাশিয়া। বিদ্রোহীদের ক্ষমতা দখলের পর সিরিয়ায় নিজেদের অবস্থান নিয়ে ইতস্তত রাশিয়া।
১০ ডিসেম্বর ম্যাক্সারের তোলা ছবিগুলোতে দেখা গেছে, কিছু জাহাজ রোববার থেকে টার্টাস নৌ ঘাঁটি ছেড়েছে এবং বর্তমানে ভূমধ্যসাগরের উপকূলে নোঙ্গর করে আছে। একই দিনে তোলা অন্যান্য ছবিতে সিরিয়ায় রাশিয়ার প্রধান বিমানঘাঁটি, হমেইমিমে কার্যকলাপ অব্যাহত দেখা গেছে, টারমাকে স্পষ্টভাবে যুদ্ধবিমানগুলো দেখা গেছে।
সোমবার ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, রাশিয়ার ভবিষ্যত সামরিক উপস্থিতি নিয়ে আগত কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসবে মস্কো।
তিনি মস্কোতে সাংবাদিকদের বলেন, “নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য এখন সম্ভাব্য সবকিছু করা হচ্ছে এবং অবশ্যই, আমাদের সামরিক বাহিনীও প্রয়োজনীয় সব সতর্কতা অবলম্বন করছে।”
টার্টাস নৌ ঘাঁটিতে রাশিয়ার কৃষ্ণ সাগরীয় নৌ বহরের অংশ রয়েছে। ১৯৭০ এর দশকে সোভিয়েত ইউনিয়ন এটি প্রতিষ্ঠা করে। ২০১২ সালে রাশিয়া এটি প্রসারিত এবং আধুনিকায় করে। ওই সময় ক্রেমলিন প্রেসিডেন্ট আসাদের ওপর সমর্থন বৃদ্ধি করেছিল।
নতুন স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা গেছে, রাশিয়া যুদ্ধ জাহাজগুলোকে বন্দর থেকে বের করে এনেছে। দুটি গাইডেড মিসাইল ফ্রিগেট সিরিয়ার উপকূল থেকে প্রায় ১৩ কিলোমিটার দূরে নোঙ্গর করা হয়েছে। বর্তমানে বহরের অবশিষ্টাংশ কোথায় রয়েছে তা স্পষ্ট নয়।