ইসরায়েলের ওপর পাল্টা হামলা চালাতে রাজি নন সিরিয়ার ডি ফ্যাক্টো নেতা আহমেদ আল-শারা। শনিবার তিনি জানিয়েছেন, ইসরায়েল সিরিয়ায় তার হামলার ন্যায্যতা দেওয়ার জন্য মিথ্যা অজুহাত ব্যবহার করছে। কিন্তু বাশার আল-আসাদের পতনের পর সিরিয়ার পুনর্গঠনের দিকে মনোনিবেশ করায় তিনি নতুন সংঘাতে জড়াতে আগ্রহী নন।
শারা - আবু মোহাম্মদ আল-জুলানি নামে বেশি পরিচিত। তিনি হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) গ্রুপের নেতা। গত সপ্তাহে আসাদকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিয়ে আসাদ পরিবারের পাঁচ দশকের লৌহমুষ্টি শাসনের অবসান ঘটায় এইচটিএস।
আসাদের পতনের পর ইসরায়েল সিরিয়ার অভ্যন্তরে একটি নিরস্ত্রীকরণ অঞ্চলের দখল নিয়েছে, যার মধ্যে কৌশলগত মাউন্ট হারমনের সিরিয়ার মালিকানার অংশটিও রয়েছে। বিদ্রোহীদের হাত থেকে সামরিক সম্পদকে দূরে রাখতে সিরিয়ার প্রায় ৫০০ লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং জর্ডানসহ বেশ কয়েকটি আরব দেশ ইসরায়েলের গোলান মালভূমিতে বাফার জোন দখলের নিন্দা জানিয়েছে।
সিরিয়া টিভির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে শারা বলেন, “ইসরায়েলের যুক্তি দুর্বল হয়ে পড়েছে এবং তাদের সাম্প্রতিক লঙ্ঘনের ন্যায্যতা আর নেই। ইসরায়েলিরা স্পষ্টভাবে সিরিয়ায় জড়িত থাকার সীমা অতিক্রম করেছে, যা এই অঞ্চলে অযৌক্তিক উত্তেজনা বৃদ্ধির হুমকি সৃষ্টি করেছে।”
তিনি বলেন, “সিরিয়ার যুদ্ধক্লান্ত অবস্থা, বছরের পর বছর ধরে সংঘাত ও যুদ্ধের পর নতুন সংঘর্ষের সুযোগ নেই। এই পর্যায়ে অগ্রাধিকার হল পুনর্গঠন ও স্থিতিশীলতা, বিবাদে আকৃষ্ট না হওয়া যেটি আরো ধ্বংসের দিকে নিয়ে যেতে পারে।”
শারা জানান, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার একমাত্র উপায় কূটনৈতিক সমাধান এবং “অগণিত সামরিক অভিযান” কাম্য নয়।