ভারতে মুম্বাইয়ের উপকূলে যাত্রীবাহী লঞ্চের সঙ্গে দেশটির নৌবাহিনীর একটি স্পিডবোটের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে নৌবাহিনীর তিন কর্মকর্তাসহ অন্তত ১৩ জন নিহত হয়েছেন।
হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে গেটওয়ে অব ইন্ডিয়া সংলগ্ন ফেরিঘাট থেকে পর্যটন গন্তব্য এলিফ্যান্টা গুহা যাওয়ার সময় আরব সাগরে এ দুর্ঘটনায় পড়ে ওই ফেরিটি। নৌবাহিনীর একজন মুখপাত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ভারতীয় নৌবাহিনী জানিয়েছে, ইঞ্জিনে ত্রুটির কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। নৌবাহিনীর একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইঞ্জিন পরীক্ষা চলাকালীন একটি নৌবাহিনীর নৌযান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি যাত্রীবাহী ফেরির সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে।
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস জানিয়েছেন, দুর্ঘটনায় ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে তিনজন নৌবাহিনীর নৌবাহিনীর কর্মকর্তা, আর ১০ জন সাধারণ নাগরিক। শতাধিক মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে।
ফেরির এক যাত্রী স্থানীয় একটি টেলিভিশনকে বলেন, “স্পিডবোটটি আমাদের ফেরিতে ধাক্কা দেয় এবং পানি প্রবেশ করতে শুরু করে এবং এটি উল্টে যায়। ড্রাইভার আমাদের লাইফ জ্যাকেট পরতে বলেছিল।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই যাত্রী বলেন, “১৫ মিনিট সাঁতার কাটার পর অন্য একটি নৌকা আমাকে উদ্ধার করে।”
হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, এ ঘটনায় ঠিক কতজন নিখোঁজ আছেন, তা এখনও নির্দিষ্টভাবে জানা যায়নি।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বুধবার গভীর রাতে এক্স-এ একটি পোস্টে বলেছেন, ‘মুম্বাইয়ে দুর্ঘটনাটি দুঃখজনক। শোকাহত পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা।’
মোদি নৌ-দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রত্যেকের নিকটাত্মীয়দের জন্য প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে ২ লাখ রুপি সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা করেছেন এবং আহতদের ৫০ হাজার রুপি করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন।